আজকের আলোচ্য বিষয় সমূহঃ
হায়েয অবস্থায় যিকির, হায়েয অবস্থায় কুরআনে কারীম শিক্ষা দেওয়া, ঋতুমতী মহিলার জন্য দৈনন্দিনের আমল হিসেবে বড় সূরা তেলাওয়াত, হায়েয-নেফাস অবস্থায় সবক শোনা, হায়েয অবস্থায় ধর্মীয় কিতাব স্পর্শ করা ও পড়া, হায়েয অবস্থায় হাদীসের কিতাব স্পর্শ করা ও হাদীস অধ্যয়ন করা, হায়েয অবস্থায় কুরআন শরীফ স্পর্শ করা ও পড়া
হায়েয বা মাসিক প্রতিটা মহিলার একটা স্বাভাবিক ঘটনা। মাসের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এটা হয়ে থাকে। যা হযরত হাওয়া (আ.) থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
কিন্তু এই হায়েয বা মাসিক নিয়ে প্রায় সব মহিলার মনেই কিছু না কিছু প্রশ্ন আছেই। লজ্জার বিষয় তাই হয়তো অনেক মহিলাই মাসিক নিয়ে কারো সাথে খুলা-মেলা (মাসলা-মাসায়েল) আলোচনা করতে পারেন না।
তাই আমরা কোরআনের আলো ব্লগের পক্ষ থেকে একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এখন থেকে মহিলাদের দৈনন্দিন জীবনে জরুরি মাসায়েল সম্পর্কিত পোষ্ট করা হবে ইন-শা-আল্লাহ, আল্লাহু-তায়ালা। এইসব পোষ্টের মাধ্যমে বালিকা থেকে মহিলা প্রায় সবার মাসায়েল বা সমস্যা গুলো ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে। এই পোষ্ট গুলো “মহিলাদের জরুরি মাসায়েল” নামে ব্লগের ম্যানুবারে পেয়ে যাবেন।
আল্লাহু তায়ালা আমাদের সবাইকে দ্বীন প্রচারের জন্য কবুল করুণ।
সম্পর্কিত পোষ্ট
নারীদের গোপন মাসায়েল ও আলোচনা পর্ব ১
হায়েয সংক্রান্ত মাসায়েল ও আলোচনা পর্ব ২
ইসলামে নারীর পর্দার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয
মা-বাবার সাথে সন্তানের আচরণ কেমন হবে
হায়েয সংক্রান্ত মাসায়েল ও আলোচনা পর্ব ৩
মাসিক বা হায়েয অবস্থায় সহবাস করার বিঁধান পর্ব ৪
হায়েয অবস্থায় যিকির
প্রশ্নঃ হায়েয অবস্থায় মহিলাদের জন্য তাসবীহ ইত্যাদি পাঠ করা জায়েয আছে কি?
উত্তরঃ হ্যাঁ, হায়েয অবস্থায় মহিলাদের জন্য কুরআনে কারীম তিলাওয়াত ব্যতীত সব ধরনের যিকির-আযকার করা বৈধ। দোয়ার বিষয় সম্বলিত কুরআনের আয়াত ও দোয়ার নিয়তে পড়াও জায়েয আছে। ফকীহগণ বলেছেন, যে সকল আয়াতে দুআর অর্থ রয়েছে তা দু'আ হিসেবে পড়া যাবে।
যেমনঃ ربنا آتنا في الدنيا حسنة وفي الآخرة حسنة وقنا عذاب النار -ইত্যাদি
।
হায়েয অবস্থায় কুরআনে কারীম শিক্ষা দেওয়া
প্রশ্নঃ হায়েয অবস্থায় বাচ্চাদেরকে কুরআন শিক্ষা দিতে পারবেন কিনা? এমনিভাবে তার জন্য দোয়া-কালাম এবং হাদীস-মাসায়েলের কিতাব ধরা ও পড়ানো জায়েয আছে কিনা?
উত্তরঃ এ সম্পর্কে ফিকহী কিতাবসমূহ থেকে নিম্নোক্ত মাসয়ালাগুলো গৃহিত
১. হায়েযা মহিলার জন্য তিলাওয়াতের নিয়তে এক আয়াত বা তার চেয়ে হয় অধিক তিলাওয়াত করা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।
২. আয়াতের অংশ বিশেষ (যা ছয় হরফের চেয়ে কম) তিলাওয়াত করা জায়েয হওয়ার ব্যাপারে মতনৈক্য রয়েছে। এক্ষেত্রে নাজায়েয হওয়ার বক্তব্যটিই অগ্রাধিকার যোগ্য।
৩. এসব ক্ষেত্রে বাক্যকে শব্দে শব্দে ভেঙ্গে উচ্চারণ করা শিক্ষিকার জন্য সর্ব সম্মতিক্রমে জায়েয।
৪. দোয়ার আয়াতগুলো দোয়ার উদ্দেশ্যে পড়া জায়েয আছে।
৫. দোয়ায়ে মাসূরা পড়া এবং তাতে হাত লাগানোও জায়েয আছে।
আরো পড়ুনঃ
নামাজ অবস্থায় অযূ ভঙ্গ হলে করণীয়
ঋতুমতী মহিলার জন্য দৈনন্দিনের আমল হিসেবে বড় সূরা তেলাওয়াত
প্রশ্নঃ ঋতুমতী মহিলার জন্য দৈনন্দিনের আমল হিসেবে সকালে সূরা ইয়াসিন ও সন্ধ্যায় সূরা ওয়াকিয়া পড়া যাবে কি?
উত্তরঃ হায়েয-নেফাস অবস্থায় কুরআনে কারীম তিলাওয়াত করা জায়েয নেই। নিয়মিত আমল হিসেবেও সূরা ইয়াসিন, ওয়াকিয়া ইত্যাদি পড়া যাবে না। । হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, ঋতুমতী মহিলা এবং যার উপর গোসল ফরয হয়েছে তারা যেন সামান্য পরিমাণও কুরআন তিলাওয়াত না করে। অবশ্য ফকীহগণ বলেছেন, যে সকল আয়াতে দুআর অর্থ রয়েছে তা দুআ হিসেবে পড়া যাবে। যেমন, ربنا آتنافي الدنيا حسنة وفي الآخرة حسنة وقنا عذاب النار -ইত্যাদি |
হায়েয-নেফাস অবস্থায় সবক শোনা
প্রশ্ন: হায়েয-নেফাস অবস্থায় সবক শুনতে পারবেন কিনা?
উত্তরঃ হ্যাঁ, হায়েয-নেফাস অবস্থায় সবক শুনতে পারবেন।
হায়েয অবস্থায় ধর্মীয় কিতাব স্পর্শ করা ও পড়া
প্রশ্নঃ হায়েয অবস্থায় মহিলাদের জন্য 'ফাযায়েলে আমল'
কিতাবটি স্পর্শ করা ও পড়া জায়েয হবে কি?
উত্তরঃ হ্যাঁ, হায়েয অবস্থায় মহিলাদের জন্য কুরআনে
কারীম ছাড়া ধর্মীয় যে কোনো কিতার স্পর্শ করা ও পড়া উভয়ই জায়েয আছে। তবে যেখানে
কুরআনের আয়াত লিখা রয়েছে, সেখানে হাত লাগাবে না।
সম্পর্কিত
পোষ্ট
হায়েয
অবস্থায় হাদীসের কিতাব স্পর্শ করা ও হাদীস অধ্যয়ন করা
প্রশ্নঃ হায়েয অবস্থায় বুখারী, মুসলিম বা অন্য কোন
হাদীসের কিতাব পড়া জায়েয আছে কিনা?
উত্তরঃ হ্যাঁ, হায়েয অবস্থায় হাদীসের কিতাব
পড়া জায়েয আছে।
হায়েয অবস্থায় কুরআন শরীফ স্পর্শ করা ও
পড়া
প্রশ্নঃ হায়েয অবস্থায় কুরআনে কারীম স্পর্শ করা যায় না। কিন্তু মুখে পড়া যায়। কেননা, মুখতো পবিত্র। কথা কি সঠিক?
উত্তরঃ না, কথা টি সঠিক নয়। হায়েয অবস্থায় কুরআনে কারীম যেমন স্পর্শ করা নাজায়েয, তদ্রূপ পড়াও নাজায়েয। তার মুখ পবিত্র; এটি তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে নয়, খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে।
৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়
ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার পর্ব ১
ইসলামে মেহমানদারির গুরুত্ব ও বিধান
ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব
সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত
যৌবনকাল ইসলামে ইবাদতের শ্রেষ্ঠ সময়
চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত #তাকবীরউলা
হস্তমৈথুন এবং এটা থেকে বাঁচার উপায়
দামি আতর কেনা কি অপচয় হিসেবে বিবেচিত হবে?
দুই মসজিদ কাছাকাছি, কোন মসজিদে নামাজ পড়বেন?
মোবাইল ফোনে কোরআন তেলাওয়াতের আদব