জুমুয়ার নামাযের বিবরণ
পরিচয়ঃ জুময়া অর্থ সপ্তাহের সমষ্টি দিন বা একত্রকারী
দিবস। যেহেতু এদিন সবাই একত্র হয় এজন্য তাকে জুমুয়ার নামায বলা হয়। শুক্রবার
যোহরের নামাযের পরিবর্তে মহল্লার মসজিদে সকলে একত্র হয়ে জামায়াতের সাথে যে নামায
আদায় করতে হয়, তাকে জুমুয়ার নামায বলে।
সময়ঃ যোহরের নামাযের যে সময় জুমুয়ার নামাযেরও একই
সময়। নামকরণঃ এ দিনকে জুমুয়া নামকরণের অনেক কারণ রয়েছে। যেমন-
১. কিতাবে আইনীতে হযরত
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত আছে, এদিন আদম (আঃ)-এর সৃষ্টির যাবতীয় উপকরণ
একত্রিত করেছিলেন বলে এদিনকে জুময়া বলা হয়।
২. খোযায়মা (রাঃ) সালমান
ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আদম ও হাওয়া (আঃ) এ দিন
একত্রিত হন।
৩. ইবনে হাযাম (রাঃ)
বলেন, এদিন মানুষ একত্র হয় বিধায় একে জুমুয়া বলা হয়।
সম্পর্কিত পোষ্ট
জুমার গুরুত্ব ও ফজিলত/Jumar Gorotto o Fojilot
নামাযের
প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ
নামাজ
বা সালাত আদায়ের নিয়ম-Namaj Adayer Niyom
জুমুয়ার নামাযের তাৎপর্য
আল্লামা শায়খ আলাউদ্দিন
(রাঃ) বলেন, জুমুয়ার নামায প্রবর্তনের কারণ ও তাৎপর্য হলো প্রত্যেক দিন একই
স্থানে একই সময়ে সকল মুসলমানদের একত্রিত হওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার। কাজেই এমন একটি
সময় নির্ধারণ করা কর্তব্য যাতে নির্দিষ্ট স্থানে সবাই একত্র হতে পারে। এজন্য
সপ্তাহের একটি বিশেষ দিবসকে নির্বাচন করা হয়েছে, যাতে সবাই একত্রিত হতে পারে।
এটাই জুমুয়ার নামায প্রবর্তনের তাৎপর্য।
জুমুয়ার দিনের ফযীলত
মহান আল্লাহর নিকট নামাযই
সবচেয়ে প্রিয় ইবাদত। এজন্য নামাযের সবচেয়ে বেশি তাগিদ এসেছে। সপ্তাহের দিনগুলোর
মধ্যে শুক্রবার শ্রেষ্ঠ। কেননা, এদিন মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের জন্য সবচেয়ে
বেশি নিয়ামত দান করেছেন। এদিনের ফযীলত বর্ণনা করা অসাধারণ ব্যাপার। তাই সংক্ষিপ্ত
কিছু আলোচনা করা হলো-
*এদিন আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি
করা হয়েছে।
*এদিন তাকে বেহেশতে বসবাস
করার জন্য দেয়া হয়েছে।
*এদিন তাকে বেহেশত থেকে
বের করে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে।
*মুসনাদে আহমদে আছে- এ
দিনের ফযীলত শবে কদর অপেক্ষাও অধিক। কারণ এদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম মা আমিনার গর্ভে আসেন। রাসূলের আগমনের মধ্যে আখিরাতের অশেষ কল্যাণ
নিহিত। এদিনই পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে, আবার এদিনই ধ্বংস করা হবে।
আরও পড়ুনঃ
সালাতুস তাসবীহ
দোয়া করার নিয়ম
৫ টি কথায় সকল
চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়
তওবা কবুল
হওয়ার শর্ত/Taoba Kobul Hoyar Sorto
কার উপর জুমুয়ার নামায ফরয
প্রত্যেক সপ্তাহে
শুক্রবার দিন যোহরের নামাযের ওয়াক্তে জুমুয়ার নামায পড়তে হয়। নামায জামায়াতের
সাথে আদায় করা ফরয। একাকী জুমুয়ার নামায পড়া জায়েয নেই। এ নামাযে ইমাম ব্যতীত
ও তিন বা এর অধিক লোকের জামায়াতে মসজিদে পড়তে হয়। শুক্রবার দিন যোহরের নামাযের
পরিবর্তে জুমুয়ার নামায পড়া হয়। জুমুয়ার দিন ভালোভাবে গোসল করা,
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে কাপড় পরা এবং সুগন্ধি লাগানো মুস্তাহাব। জুমআর নামায
পড়া প্রত্যেক বালেগ, মুকিম, আজাদ মুসলমান পুরুষের ওপর ফরয, কিন্তু নিম্নলিখিত
লোকের ওপর জুমুয়া পড়া ফরয নয়। যেমন-
(ক) নাবালেগ,
(খ) মুসাফির,
(গ) গোলাম,
(ঘ) অমুসলমান,
(ঙ) রোগী,
(চ) পাগল,
(ছ) অন্ধ,
(জ) খোঁড়া ও
(ঝ) মেয়েলোক।
জুমুয়ার নামায ফরয হবার শর্ত ৬টি
(ক) শহর বা শহরতলী হওয়া।
(খ) বাদশাহ বা বাদশাহর
প্রতিনিধি থাকা।
(গ) যোহরের ওয়াক্তে
নামায শেষ করা।
(ঘ) জুমুয়ার ফরয নামাযের
পূর্বে খুতবা পড়া।
(ঙ) জামায়াত (ইমাম
ব্যতীত কমপক্ষে ৩ জন) হওয়া।
(চ) ইয়নে আ'ম অর্থাৎ
সর্বসাধারণের প্রবেশধিকার থাকা।
হজ্জের ফরয, ওয়াজিব সুন্নাতসমূহ
হজ্জের গুরুত্ব
ও ফযীলত-Hajjer Gurutto o Fajilat
বেসরকারিব্যবস্থাপনায়
হজ করতে কত টাকা লাগবে?
এ
বছর হজ করতে পারবেন ১০ লাখ
কোন
দেশ থেকে কত মানুষ হজে যেতে পারবে
নামাজ ও যাকাত এর গুরুত্ব
ও প্রয়োজনীয়তা
কুরবানীর
ইতিহাস, তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল
কোরবানীর ইতিহাস ও ওয়াজিব হওয়ার
শর্ত/Qurbani
কুরবানির পশু
জবাইয়ের দোয়া ও পদ্ধতি
পশু যবেহ করার সময় বিশেষ লক্ষণীয় ও কর্তব্য
মহানবীকে
স্বপ্নে দেখার উপায়-Mohanobi ke sopne dekhar amol
যে সময় দোয়া
কবুল হয়-Je Somoy Dua Korle Kobol Hoy
ঈদের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম-Eider namajer
niyot o niyom
আকিকার গোসত
কতদিন খাওয়া যাবে-Akikar Mangso
আকীকা এবং কিছু
ভ্রান্ত ধারণা/Akikar Niyom
নফল
রোজার মাসআলা/Nafal Rojar Masala