Breaking

April 11, 2022

রোজার ফেদিয়ার মাসায়েল/Rojar Fediyar Masael


প্রতিটি ভালো কাজের আলাদা আলাদা ফজিলত ও পুরস্কার রয়েছে। যার দ্বারা মহান রাব্বুল আলামিন কৃতকার্যকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। কেননা, রোজার একাধিক সওয়াব ছাড়াও এর ব্যাপারে অতুলনীয় ঘোষণা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের প্রতিটি আমল বৃদ্ধি পায়। একটি নেক আমল (সাওয়াব) ১০ গুণ থেকে (বিশেষ ক্ষেত্রে) ৭০০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'কিন্তু রোজার বিষয়টি ভিন্ন। কারণ রোজা আমার জন্য। তাই আমি নিজেই এর জন্য পুরস্কার প্রদান করব।

রমজান মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ কুরআন পাকে এরশাদ করেন- "রমজান এমন একটি মহান মাস যাতে মানুষের হেদায়েত এবং হেদায়েত বিষয়ক প্রকাশ্য শিক্ষাপূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে যা সত্যকে মিথ্যা এবং খাটিকে ভেজাল হতে পার্থক্যকারী।"

আরো পড়তে পারেনঃ

রোজার গুরুত্ব

রোজা ভঙ্গের কারণসমুহ

রোজার মাকরুহসমূহ

রোজার কাফ্‌ফারা-র মাসায়েল


আজ আমরা রোজার ফেদিয়ার মাসায়েল সম্পর্কে জানবো 

রোজার ফেদিয়ার মাসায়েল

কোন ব্যক্তি রোযা রাখতে না পারলে বা কাযা আদায় করতে না পারলে যে ক্ষতি পূরণ দিতে হয় তাকে ফেদিয়া বলে।

প্রতিটা রোযার পরিবর্তে সদকায়ে ফিতর পরিমান পণ্য বা তার মূল্য দান করাই হল এক রোযার ফেদিয়া। যার জিম্মায় কাযা রোযা রয়েছে জীবদ্দশায় আদায় হয়নি মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগণ তার রোযার ফেদিয়া আদায় করবে মৃত ব্যাক্তি ওসিয়ত করে গিয়ে থাকলে তার ত্যাজ্য সম্পদ থেকে নিয়ম অনুযায়ী এই ফেদিয়া আদায় করা হবে। আর ওসিয়ত না করে থাকলে ও ওয়ারিসগন নিজেদের মাল থেকে ফেদিয়া আদায় করে দেয় তবু ও আশা করা যায় আল্লাহ্‌ তায়ালা কবুল করবেন এবং মৃত ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন। 


Ø ফেদিয়া অর্থ ক্ষতিপূর্ণ। রোজ রাখতে না পারলে বা কাযা আদায় করতে না পারলে যে ক্ষতিপূর্ণ দিতে হয় তাকে ফেদিয়া বলে। প্রতিটা রোজার পরিবর্তে সাদকায়ে ফিতর (ফিতরা) পরিমাণ পণ্য বা তার মূল্য দান করাই হলো এক রোজার ফেদিয়া। (ফিতরা-এর পরিমাণ সম্পর্কে জানার জন্য সদকায়ে ফিতর/ফিতরা-এর মাসায়েল এই পোস্টি পড়তে পারেন)


আরো পড়তে পারেনঃরোজার কাযার মাসায়েল

নফল রোজার মাসআলা/Nafal Rojar Masala

এতেকাফ-Etekaf-ইতেকাফ

এতেকাফ এর মাসাআলা/Etekaf er Masala/এতেকাফের শর্তসমূহ


Ø যার যিম্মায় কাযা রোজা রয়ে গেছে জীবনদ্দশায় আদায় হয়নি, মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগণ তার রোজার ফেদিয়া আদায় করবে। মৃত ব্যক্তির ওছিয়ত করে গিয়ে থাকলে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে নিয়ম অনুযায়ী এই ফেদিয়া আদায় করা হবে। আর ওছিয়দ না করে থাকলেও ওয়ারিশগণ নিজেদের মাল থেকে ফেদিয়া আদায় করে দেয়, তবুও আশা করা যায় আল্লাহ তা করুল করবেন এবং মৃত ব্যক্তিকে ক্ষমা করবেন।

Ø অতি বৃদ্ধ/বৃদ্ধা রোজা রাখতে না পারলে অথবা কোন ধ্বংসকারী বা দীর্ঘমেয়াদী রোগ হলে এবং সুস্থ হওয়ার কোন আশা না থাকলে আর রোজা রাখায় ক্ষতি হওয়ার ভয় থাকলে এমন লোকের জন্য প্রত্যেক রোজার পরিবর্তে ফেদিয়া আদায় কারার অনুমতি আছে। তবে এরূপ বৃদ্ধ/বৃদ্ধা বা এরূপ রোগী পুনরায় কখনও রোজা রাখার শক্তি পেলে তাদেরকে কাযা করতে হবে এবং যে ফেদিয়া দান করেছিল তার ছওয়াব পৃথকভাবে সে পাবে।

ইসলামে রোজার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। আলোর পথের যাত্রীরা আসুন আমরা সবাই রোজার হক যথা যথ ভাবে আদায় করি, যেন কাল আশরের ময়দানে রোজা আমাদের বিপক্ষে স্বাক্ষী না দেয় বরং আমাদের নাজাতের উসিলা হয়ে দাঁড়ায়।


আরো পড়তে পারেনঃ

যেসব কারণে এতেকাফ ফাসেদ তথা নষ্ট হয়ে যায় এবং কাযা করতে হয়

শবে কদর, এ'তেকাফ ও ফিতরা মাসআলা

শাওয়ালের ছয় রোজা

হজ্জের গুরুত্ব ও ফযীলত-Hajjer Gurutto o Fajilat

ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য-EdulFitorer Tatporjo

নামাজ ও যাকাত এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

কুরবানীর ইতিহাস, তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল

লাইলাতুল কদরের ফজিলত

৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ

সূরা ফাতিহা/Surah Fatiha

সূরা ফাতিহার শানে নুযূল/ Sura Fatihar Sane Nuzul

সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত/Sura Fatihar Fojilot

কবিরা গুনাহসমূহ/Kobira Gunahasomuh

পাঁচ কালেমা আরবি ও বাংলা অর্থসহ উচ্চারণ/5 Kalema

শিরকের বিবরণ/Shirok

প্রস্রাব-পায়খানা করার নিয়ম/Prosrab-paykhana korar niyom

ঢিলা-কুলুখ ব্যবহারের নিয়ম/hila-kulukh beboharer niyom

মা-বাবা সাথে সন্তানের আচরণ কেমন হবে/Baba-Maa

Popular Posts