তাওবার নামাজ কি ভাবে আদায় করতে হয়-তওবার নামাজ কি জন্য
আদায়
করতে হয়-তাওবার নামাজ পড়ার নিয়মঃ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
সুপ্রিয় কুরআনের আলোর পথের যাত্রীরা
আশা করি আল্লাহর রহমত ও মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। প্রিয় বন্ধুরা লায়লাতুল
কদর ও রমজানের শেষ দশকে সর্বশ্রেষ্ট সালাত হতে পারে নফল সালাত গুলোর মধ্যে তওবার সালাত।
আমরা অনেকে জানি না যে সালাত টি জীবনে অন্তত একবার পড়ার মাধ্যমে আমার সারা জীবনের সকল
গুনা আমি মাফ করিয়ে নিতে পারি। প্রিয় কুরআনের আলোর পথের যাত্রীরা আজ আপনাদেরকে জানাবো-
তওবার নামাজ কি ভাবে আদায় করতে
হয়?
তওবার নামাজ কি জন্য আদায় করতে
হয়?
সর্বপ্রথম তওবার নামাজ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত
ভাবে জেনে নেই-
নামাজ পড়ার জন্য নির্দিষ্ট দরা-বাদা
সময় নেই, তবে মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য গভীর রাতে পড়া উত্তম।
যদি কোন গুনাহের
কাজ করে বসেন, অথবা অতীত জীবনের গুনাহ ক্ষমা করার জন্য এ নামাজ পড়তে হয়। তওবা এবং ইস্তেগফার
আমাদের জন্য মিজান স্বরূপ। এক বর্ণনায় আছে- আমাদের প্রাণের নবী, মায়ার নবী, নবী মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দৈনিক ৭০বার, অন্য এক বর্ণনায় আছে দৈনিক ১০০বার তওবা
করতেন।
যে নবীর তামাম
জিনদেগীতে কোন গুনাহ ছিলো না, যাঁর আগে পরের সমস্ত গুনাহ মাফ ছিলো তিনি যদি দৈনিক ১০০
বার তওবা করতেন তাহলে আমাদের তো উঠতে বসতে গুনা আমাদের কি করা উচিৎ? আমার গুনা নাই
এমন কেউ কি বলতে পারবেন?
তওবার এই
পদ্ধতি পৃথিবীতে সর্বপ্রথম হযরত আদম (আঃ) মানব জাতিকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন। পৃথিবীর প্রথম
মানুষ হিসেবে পৃথিবীর বুকে তিনিই সর্বপ্রথম তওবা করেছেন। আর তিনি যে তওবার দোয়াটি পড়েছিলেন
সেটা পবিত্র কুরআনে এসেছে।
তওবা সালাতের সেজদায়
কোন দোয়া পড়বো
আমরা চাইলে
তওবার সালাতের সেজদায় গিয়ে এভাবে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করতে পারিঃ
“রব্বানা
যলামনা আনফুসানা ওয়া ইললাম তাফিরলানা ওয়া তারহামনা লানা কূনান্না মিনাল খসেরিন।’’
প্রিয় বন্ধুরা
এই দোয়ার বরকতে মহান আল্লাহ তাআলা হযরত আদম (আঃ) এবং মা হাওয়া (আঃ) এর অতীত জীবনের
গুনাহ, গন্ধম ফল খাওয়ার গুনাহ, জান্নাতের সেই গাছের নিচে যাওয়ার গুনাহ, শয়তানের প্ররোচনায়
প্ররোচিত হওয়ার গুনাহ, সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন এই একটি দোয়ার বরকতে। আমরা অবশ্যই
তওবার নামাজে বা সব সময় এই দোয়াটি পড়বো ইন শা আল্লাহ।
এই নামাজ
পড়তে হলে সর্বপ্রথম ১১০ দোয়া ইস্তেগফার পাঠ করে দুই রাকাত নামায পড়ে পুনরায় দোয়া ইস্তেগফার
১১০ বার পড়ে তারপর কয়েকবার দরূদ শরীফ পড়ে গুনাহ মাফের জন্য মোনাজাত করতে হবে।
চলুন বিস্তারিত
ভাবে নামাজ পড়ার নিয়ম জেনে নেই-
“প্রথমে ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু ওয়াজহিয়া লিললাজি ফতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব হানিফাও
ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন”
এই দোয়াটি
পড়ে শিরক থেকে মুক্তি হয়ে রব্বুল আলামীনের দরবারে মোতাওয়াজ্জিত হতে হবে। তারপর নামাজের
নিয়ত করতে হবে।
প্রিয় বন্ধুরা
এখানে একটু লক্ষ্য করবেন, আরবিতে যদি নিয়ত করতে না পারেন তাহলে বাংলায় নিয়ত করতে পারেন।
যেমন-
“আমি তওবার দুই রাকাত নামাজ কিবলামুখি হইয়া আদায় করছি আল্লাহু আকবার।” নিয়ত উচ্চস্বরে পড়ার প্রয়োজন নেই, নিয়ত মানে সংকল্প, আপনি
যদি মনে মনে সংকল্প করেন তাহলেই নিয়ত হয়ে যায়। তারপর নামাজের সানা পড়ে নিতে হবে।
সানাঃ “সুবহানাকাল্লাহ
হুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাছমুকা ওয়া তা’আলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গইরুক”
তারপর বিসমিল্লাহ
পড়ে সূরা ফাতিহা পড়বেন, তারপর যেকোন একটা সূরা পড়বেন। তারপর রুকু-সিজদা করবেন। দ্বিতীয়
রাকাতে আবারো সূরা ফাতিহা এবং যেকোন একটা সূরা পড়বেন এবং রুকু-সিজদা করবেন।
তারপর আত্তাহিয়াতু
পাঠ করবেন। তারপর সালাম ফিরিয়ে ১১০ বার দোয়া ইস্তেগফার পড়ুন- “আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি
লা ইলাহা ইললা হুয়াল হাইয়ুল ক্যাইয়ুম ওয়াতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইললা বিললাহিল
আলিউল আজিম।”
তারপর কয়েক
বার দরূদ শরীফ পড়ে আল্লাহতায়ালার নিকট দুই হাত তুলে ক্ষমা প্রার্থনা করুণ, ইন শা আল্লাহ
আল্লাহতায়ালা আপনার পূর্বের জীবনের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।
নফল রোজার মাসআলা/Nafal Rojar Masala
এতেকাফ এর মাসাআলা/Etekaf
er Masala/এতেকাফের শর্তসমূহ
যেসব কারণে এতেকাফ ফাসেদ তথা নষ্ট
হয়ে যায় এবং কাযা করতে হয়
শবে কদর, এ'তেকাফ ও ফিতরা মাসআলা
হজ্জের গুরুত্ব
ও ফযীলত-Hajjer Gurutto o Fajilat
ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য-EdulFitorer Tatporjo
সদকায়ে ফিতর/ফিতরা এর মাসায়েল/sadkaye fittor/fitara er masayel
নামাজ ও যাকাত এর
গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
কুরবানীর ইতিহাস,
তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল