Breaking

April 10, 2022

যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় এবং কাযা, কাফফারা উভয়টা ওয়াজিব হয়

প্রতিটি ভালো কাজের আলাদা আলাদা ফজিলত ও পুরস্কার রয়েছে। যার দ্বারা মহান রাব্বুল আলামিন কৃতকার্যকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। কেননা, রোজার একাধিক সওয়াব ছাড়াও এর ব্যাপারে অতুলনীয় ঘোষণা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের প্রতিটি আমল বৃদ্ধি পায়। একটি নেক আমল (সাওয়াব) ১০ গুণ থেকে (বিশেষ ক্ষেত্রে) ৭০০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'কিন্তু রোজার বিষয়টি ভিন্ন। কারণ রোজা আমার জন্য। তাই আমি নিজেই এর জন্য পুরস্কার প্রদান করব।

শরীয়তের পরিভাষায়, সাওমকে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখার উদ্দেশ্যে খাওয়া, পান, যৌন মিলন এবং রোজা ভঙ্গকারী কাজ থেকে বিরত থাকাকে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

আজ আমরা এমন কিছু জিনিস সম্পর্কে জানবো যেগুলো করলে 
যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় এবং কাযা, কাফফারা উভয়টা ওয়াজিব হয়-


 যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়?
কি কারণে রোজা কাযা, কাফফারা ওয়াজিব হয়?

 

১। রোজার নিয়ত করার পর ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে।

২। রোজার নিয়ত করার পর ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রী সম্ভোগ করলে। স্ত্রীর উপরও কাযা কাফ্‌ফারা উভয়টা ওয়াজিব হবে। স্ত্রী যোনির মধ্যে পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ প্রবেশ করালেই কাযা ও কাফ্‌ফারা ওয়াজিব হয়ে যাবে, চাই বীর্যপাত হোক বা না হোক।

৩। রোজার নিয়ত করার পর (পাপ হওয়া সত্ত্বেও) যদি পুরুষ তার পুরুষাঙ্গ স্ত্রীর পায়খানার রাস্তায় প্রবেশ করায় এবং অগ্রভাগ ভিতরে প্রবেশ করে (চাই বীর্যপাত হোক বা না হোক) তাহলেও পুরুষ স্ত্রী উভয়ের উপর কাযা এবং কাফ্‌ফারা উভয়টা ওয়াজিব হবে।

৪। রোজা অবস্থায় কোন বৈধ কাজ করল যেমন – স্ত্রীকে চুম্বন দিল কিংবা মাথায় তেল দিল তা সত্ত্বেও সে মনে করল যে রোজা নষ্ট হয়ে গিয়েছে আর তার পরে ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার ইত্যাদি করল তাহলেও কাযা কাফ্‌ফারা উভয়টা ওয়াজিব হবে।

বলা বাহুল্য

যদি কেউ রোযা না রাখার নিয়ত করে এবং নিয়ত বাতিল করে এবং সারাদিন না খেয়ে রোযা রাখে তাহলে রোযা বাতিল বলে গণ্য হবে। তাই রোজা রাখার জন্য নিয়ত আবশ্যক।

কুরআনের এই নির্দেশ অবশ্যই মনে রাখতে হবে

وَ لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ فِیۡمَاۤ اَخۡطَاۡتُمۡ بِهٖ ۙ وَ لٰکِنۡ مَّا تَعَمَّدَتۡ قُلُوۡبُکُمۡ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا

আর এ ব্যাপারে যদি তুমি অন্যায় কর, তবে তোমার কোনো পাপ নেই, কিন্তু যদি তোমার অন্তরে সংকল্প থাকে (তা হবে পাপ)। আর আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব : আয়াত ৫)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের রোজা যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহকে সঠিকভাবে অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন। রোজা ভঙ্গ বা ভঙ্গের কারণ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন।

 

আরো পড়তে পারেনঃ

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ

নামাজ বা সালাত আদায়ের নিয়ম-Namaj Adayer Niyom

৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

তওবা কবুল হওয়ার শর্ত/Taoba Kobul Hoyar Sorto

সালাতুস তাসবীহ

দোয়া করার নিয়ম

শাওয়ালের ছয় রোজা

হজ্জের গুরুত্ব ও ফযীলত-Hajjer Gurutto o Fajilat

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে কত টাকা লাগবে?
এ বছর হজ করতে পারবেন ১০ লাখ

কোন দেশ থেকে কত মানুষ হজে যেতে পারবে

ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য-EdulFitorer Tatporjo

সদকায়ে ফিতর/ফিতরা এর মাসায়েল/sadkaye fittor

নামাজ ও যাকাত এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

কুরবানীর ইতিহাস, তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল

কোরবানীর ইতিহাস ও ওয়াজিব হওয়ার শর্ত/Qurbani

কুরবানির পশু জবাইয়ের দোয়া ও পদ্ধতি

মহানবীকে স্বপ্নে দেখার উপায়-Mohanobi ke sopne dekhar amol

যে সময় দোয়া কবুল হয়-Je Somoy Dua Korle Kobol Hoy

ঈদের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম-Eider namajer niyot o niyom

আকিকার গোসত কতদিন খাওয়া যাবে-Akikar Mangso

আকীকা এবং কিছু ভ্রান্ত ধারণা/Akikar Niyom

রোজা ভঙ্গের কারণসমুহ

রোজার মাকরুহসমূহ

রোজার কাফ্‌ফারা-র মাসায়েল

রোজার কাযার মাসায়েল

নফল রোজার মাসআলা/Nafal Rojar Masala

এতেকাফ-Etekaf-ইতেকাফ

এতেকাফ এর মাসাআলা/Etekaf er Masala/এতেকাফের শর্তসমূহ

শবে কদর, এ'তেকাফ ও ফিতরা মাসআলা

লাইলাতুল কদরের ফজিলত

তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত

সূরা ফাতিহা/Surah Fatiha

সূরা ফাতিহার শানে নুযূল/ Sura Fatihar Sane Nuzul

সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত/Sura Fatihar Fojilot

Popular Posts