পর্দার তিনটি স্তর
১. প্রথম স্তরের পর্দা হল এইরূপ যে, ঘরের ভেতরে বা বাইরে পর্দার এই অবস্থায় চলা-ফিরা করতে হবে যাতে গায়রে মোহরেম তার ব্যবহার্য কাপড় অলংকার ইত্যাদি দেখতে না পায়।
তার চলাচলের শব্দ বা তার কণ্ঠস্বর গায়রে মোহরেম শুনতে না পায়। বাইরে বের হলে পালকি বা অন্য কোন ব্যবস্থায় বের হবে, যাতে তার পরনের বোরকা পর্যন্ত দেখা না যায়। এইটাই হল মূল পর্দা, সকল মুমিন স্ত্রীলোকদের এরূপ পর্দায় থাকারই নির্দেশ রয়েছে।২. দ্বিতীয় স্তরের পর্দা
হল এইরূপ যে, বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হলে বোরকা বা এই জাতীয় কিছু পরিধান
করে বের হবে, যাতে শরীরের কোন অংশ দেখতে না পাওয়া যায় এবং বোরকার কাটিং এর কারণে
শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সৌন্দর্য অনুভব করা না যায়।
৩. তৃতীয় পর্যায়ের
পর্দা হল মুখ-মণ্ডল, হাতের তালু ও পায়ের তালু খোলা রেখে সমস্ত শরীর ঢেকে চলা ফেরা
করা। মোহরেম গায়রে মোহরেম, কারও সামনে এর অতিরিক্ত প্রকাশ করা জায়েয নেই।
ধনী-গরীব সকলের জন্য এই তিন প্রকারের যে কোন এক প্রকার পর্দা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
সম্পর্কিত পোষ্ট
ইসলামে নারীর পর্দার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
মা-বাবা সাথে সন্তানের আচরণ কেমন হবে/Baba-Maa
মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয
(১) স্বামীর সাথে,
(২) পিতার সাথে,
(৩) দাদা, নানার সাথে,
(8) স্বামীর পিতা, দাদার
সাথে,
(৫) আপন, বৈমাত্রেয় ও
বৈপিত্রেয় ভাইদের সাথে,
(৬) ঐ তিন প্রকার ভাইর
পুত্রদের সাথে,
(৭) ভগ্নির পুত্রের সাথে,
(৮) সতীনের পুত্রের সাথে,
(৯) নিজের পুত্রের সাথে,
(১০) আপন মামা, খালুর
সাথে,
(১১) আপন চাচার সাথে,
(১২) আপন কন্যার স্বামীর
সাথে,
(১৩) মুমিন ও পর্দাশীল
স্ত্রীদের সাথে,
(১৪) নাবালেগ ছেলে-মেয়ের
সাথে।
এদের ছাড়া অন্যান্য সকল
পুরুষের সাথে দেখা দেয়া, অপ্রয়োজনে কথা বলা, বেড়ান ও ভ্রমণ করা, নির্জন আলাপ ও
বৈঠক করা সম্পূর্ণ হারাম।
মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছদ
পর্দার আলোচনা থেকেই
বুঝতে পারলাম যে, কি ধরনের পোশাক পরিচ্ছদ পরিধান করে স্ত্রীলোকেরা চলাফেরা করতে
পারে। লেবাস পোশাকছীরাত-ছুরত, চলা-ফেরা, খাওয়া-দাওয়া, ইবাদাত-বন্দেগীতে
প্রত্যেকের জাতীয় একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। তাই মুসলিম সমাজের নর-নারীর জন্য
একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। যা আল্লাহ তায়া'লা তাঁর প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন । নবী শুধু মুসলমান
জাতির জন্য নির্দিষ্ট নন। নবীর শিক্ষা সমস্ত মানব জাতির জন্য। যারা তাঁর এই শিক্ষা
গ্রহণ করেছে তাঁরা আল্লাহর মনোনীত বান্দা এবং তাঁর প্রিয় উম্মত হিসাবে গণ্য
হয়েছে। আর যারা তাঁর শিক্ষা গ্রহণ করেনি, তারা কাফের, মোশরেক, ফাসেক হিসেবে গণ্য
হয়েছে। আল্লাহ তায়া'লা কালামে পাকে বলেছেন
لا تركنوا إلى الذين ظلموا فتمسكم النار.
উচ্চারণঃ লা-তারকানূ
ইলাল্ লাযীনা যালামূ ফাতামাচ্ছাকুমুন্ না-র। অনুবাদঃ “হে মুমিনগণ! যারা জালেম
তাদের দিকে ঝুঁকিও না। অন্যথায় তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে।”
অর্থাৎ লেবাছ পোশাক,
ছীরাত চুরাত, পানাহার, চলা-ফেরায় তাদের অনুকরণ করো না। যদি এ রূপ কর তা হলে
দুনিয়া ও আখেরাতে আগুনে স্পর্শ করবে।
নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ
নামাজ বা সালাত আদায়ের নিয়ম-Namaj Adayer Niyom
৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়
তওবা কবুল হওয়ার শর্ত/Taoba Kobul Hoyar Sorto
আল্লাহ
তায়া'লা অন্য এক আয়াতে বলেছেন- “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
হিদায়াত অর্থাৎ রীতি-নীতি ও আদর্শ সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ হবার পরও যারা তাঁর
বিরুদ্ধাচরণ করবে এবং মুমিন মুসলমানদের জীবনাদর্শ ছেড়ে অন্য পথকে অনুসরণ করবে,
আমি পরকালে তাদেরকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করব। মনে রেখ, জাহান্নাম অত্যন্ত
নিকৃষ্ট স্থান।”
এই হাদীসের মমার্থ হল এই
যে, যদি কেউ অন্য কোন জাতির অনুসরণ অনুকরণ করে তাদের লেবাস-পোশাক, চলা-ফেরা,
পানাহার ইত্যাদিতে তাদের নিয়ম ও প্রথা অনুযায়ী চলে তবে সে সেই জাতির অন্তর্ভুক্ত
হবে।
এতক্ষণে
কোরআন হাদীসের আলোকে বুঝতে পারলাম যে, লেবাস বা পোশাক থেকে শুরু করে মুসলমান জাতি
অন্য কোন সম্প্রদায়ের অনুসরণ করলে তার পরিণতি অত্যন্ত খারাপ। বর্তমানে আমাদের
মহিলাগণ যে ইহুদী, খ্রীস্টান বা অন্য কোন সম্প্রদায়ের পোশাক-পরিচ্ছদের অনুকরণ করে
অর্ধ উলঙ্গ বা প্রায় উলঙ্গ অবস্থায় চলাফেরা করে কিয়ামতে তারা ঐ সমস্ত
সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়ে চিরকাল জাহান্নামে বসবাস করবে।
মুসলিম
নারীদের সুন্নাত পোশাক হল, লম্বা আস্তিনের লম্বা কামিছ এবং পায়ের পাতা ঢাকা
পাজামা বা পেটিকোট এবং এই ধরনের ওড়না যাতে মাথা, গলা ও বুকের উচ্চতা অনুভব করা না
যায়। কাপড় এতটুকু মোটা হতে হবে যাতে শরীর দেখা না যায়। এটাই ছিল রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিবি, কন্যাদের এবং সেকালের মুসলমানদের পোশাক।
আমাদের দেশের মহিলাদের শাড়ী পরাই অধিক পছন্দনীয়। এটা না জায়েয না হলেও
সুন্নাতের খেলাফ। শাড়ী পরলে যদি শরীরের কোন অঙ্গ প্রকাশ পায় বা শাড়ী পাতলা
হওয়ার কারণে শরীর দেখা যায় তবে তা পরিধান করা অবশ্যই না জায়েয।
বর্তমানে
অনেক কিশোরী বা যুবতীরা গাউন, টু-পিস বা খোলা মেলা কামিছ ও নিচে আন্ডার ওয়ার
ব্যবহার করে এবং ওড়না সম্পর্কে তাদের কোন কিছু জানা আছে বলে মনে হয় না। এই ধরনের
পোশাক ব্যবহার করা হারাম। মহিলাদের জন্য পুরুষের পোশাক পরা বা রূপ ধারণ করা এবং
পুরুষদের জন্য মহিলাদের পোশাক পরা বা রূপ ধারণ করা হারাম। মহিলাদের চুল পুরুষের মত
খাট করে রাখা এবং পুরুষের মহিলাদের মত লম্বা চুল রাখাও হারাম।
হজ্জের ফরয, ওয়াজিব সুন্নাতসমূহ
হজ্জের গুরুত্ব ও ফযীলত-Hajjer Gurutto o Fajilat
বেসরকারিব্যবস্থাপনায় হজ করতে কত টাকা লাগবে?
এ বছর হজ করতে পারবেন ১০ লাখ
কোন দেশ থেকে কত মানুষ হজে যেতে পারবে
নামাজ ও যাকাত এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
কুরবানীর ইতিহাস, তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল
কোরবানীর ইতিহাস ও ওয়াজিব হওয়ার শর্ত/Qurbani
কুরবানির পশু জবাইয়ের দোয়া ও পদ্ধতি
পশু যবেহ করার সময় বিশেষ লক্ষণীয় ও কর্তব্য
মহানবীকে স্বপ্নে দেখার উপায়-Mohanobi ke sopne dekhar amol
যে সময় দোয়া কবুল হয়-Je Somoy Dua Korle Kobol Hoy
ঈদের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম-Eider namajer niyot o niyom
আকিকার গোসত কতদিন খাওয়া যাবে-Akikar Mangso
আকীকা এবং কিছু ভ্রান্ত ধারণা/Akikar Niyom
নফল রোজার মাসআলা/Nafal Rojar Masala
তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়
ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত
সূরা ফাতিহা/Surah Fatiha
সূরা ফাতিহার শানে নুযূল/ Sura Fatihar Sane Nuzul
সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত/Sura Fatihar Fojilot
কবিরা গুনাহসমূহ/Kobira Gunahasomuh
পাঁচ কালেমা আরবি ও বাংলা অর্থসহ উচ্চারণ/5 Kalema
শিরকের বিবরণ/Shirok
প্রস্রাব-পায়খানা করার নিয়ম/Prosrab-paykhana korar niyom
ঢিলা-কুলুখ ব্যবহারের নিয়ম/Ḍhila-kulukh beboharer niyom
জুমুয়ার নামায পড়ার নিয়ত/Jumuwar namaz poṛar niyot
জুমার গুরুত্ব ও ফজিলত/Jumar Gorotto o Fojilot
কাযা নামায পড়ার নিয়ম/Kaja Namaz Porar Niyom
প্রথম কাতারে নামায পড়ার ফযীলত/Protom Katare Namaz Porar Fojiot
সাহু সিজদাহ করার নিয়ম/Sahu Sijdah Korar Niyom