Breaking

May 27, 2022

পশু যবেহ করার সময় বিশেষ লক্ষণীয় ও কর্তব্য

যবেহর প্রকার

যবেহ দুই প্রকারঃ

 

১) ইখতিয়ারী অর্থাৎ, যবেহকারী স্বাভাবিক ইচ্ছামত নির্বিঘ্নে যহেব সমাধা করতে পারে।

২) ইযতিরারী অস্বাভাবিক অবস্থায় হালাল জীবের যে কোনো স্থান থেকে হারাম রক্ত বের করা।

ছোরা, বর্শা, বল্লম ইত্যাদি যে কোনো তীক্ষ্ণ অস্ত্র শিকারের প্রতি ছুড়ে শিকার করলে শিকারের ঐ জন্তু মরে গেলেও সেটির গোশত ভক্ষণ করা জায়েয, আর জীবিত পাওয়া গেলে যথারীতি তাকে যবেহ করতে হবে।


সম্পর্কিত পোস্টঃ

কুরবানীর ইতিহাস, তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল

কোরবানীর ইতিহাস ও ওয়াজিব হওয়ার শর্ত/Qurbani

কুরবানির পশু জবাইয়ের দোয়া ও পদ্ধতি

 

যবেহ করার ওয়াজিব ও সুন্নাত কাজ

 

পশু যবেহ করার সময়ে যবেহ কৃত পশুর মাথা যবেহ কারীর বাম পাশে এবং পা তার ডানে থাকবে। এছাড়া সুন্নাত গুলো হলোঃ

(১) পাক পবিত্র হয়ে যবেহ করবে।

(২) অস্ত্র ধারালো হতে হবে

(৩) আর যবেহের প্রাক্কালে নির্দিষ্ট দোয়া পড়তে হবে।

 

যবেহর মাকরূহ সমূহ

 

(ক) ধারবিহীন ছুরি বা অন্য যে কোনো অস্ত্র দ্বারা যবেহ করা।

(খ) আবশ্যকীয় রগ কাটা যাওয়ার পর দম বের হওয়ার পূর্বে শরীর থেকে যবেহকৃত পশুর মস্তক বিচ্ছিন্ন করা।

(গ) ইখতিয়ারী অর্থাৎ, যবেহকারী কেবলামুখী না হওয়া এবং প্রাণীকেও কেবলামুখী না করা।

(ঘ) যবেহ করা প্রাণী তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ শীতল হওয়ার জন্য সেটির পায়ের রগ কেটে দেয়া, কণ্ঠনালিতে ছুরি অথবা অন্য অস্ত্র দ্বারা গুঁতা দেয়া।

(ঙ) জবাইকৃত পশু পুরোপুরি শীতল হওয়ার পূর্বে শরীর থেকে এর চামড়া খুলে নেয়া।

(চ) নখ দ্বারা যবেহ করা ইত্যাদি কাজ মাকরূহ।


 আরও পড়তে পাড়েন

আকিকার গোসত কতদিন খাওয়া যাবে-Akikar Mangso

আকীকা এবং কিছু ভ্রান্ত ধারণা/Akikar Niyom


কুরবানির পশু জবেহের দোয়া

 

إني وجهت وجهي للذي فطر السموات والأرض حنيفا وما أنا من المشركين إن صلاتي ونسكي ومحياي ومماتي يله رب العالمين لا شريك له وبذلك أمرت وأنا من المسلمين اللهم منك ولك

উচ্চারণঃ ইন্নি ওয়াঝঝাহতু ওয়াঝহিয়া লিল্লাজি ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়া মা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বি-জালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়া লাকা।

 

অর্থঃ নিশ্চয়ই আমি দৃঢ়ভাবে সেই মহান সত্তার অভিমুখী হলাম, যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদের অন্তর্গত নই। নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ, সবই বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য নিবেদিত। তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি এ কাজের জন্য আদিষ্ট হয়েছি। আর আমি আত্মসমর্পণকারীদের একজন। হে আল্লাহ! তোমার পক্ষ থেকে, তোমার জন্য। (আবু দাউদ, হাঃ ২৭৯৫)

বিঃদ্রঃ কুরবানির পশু জবাই করার সময় মুখে (উচ্চস্বরে) নিয়ত করা জরুরি নয়। অবশ্য মনে মনে এ নিয়ত করা যে, আমি আল্লাহর উদ্দেশে কুরবানি আদায় করছি। তবে মুখে দোয়া পড়া উত্তম। কুরবানির পশু ক্বিবলার দিকে শোয়ানোর পর ওপরোক্ত দোয়া পাঠ করা।

অতঃপর ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলে কুরবানির পশু জবাই করা। কোরবানির পশু জবাই করে এ দোয়া পড়া-

اللهم تقبله منى كما تقبلت من حبيبك محمد وخليلك إبراهيم عليهم الصلاة والسلام.

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা তাকাব্বালহু মিন্নী কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবিকা মুহাম্মাদিও ওয়া খালিলিকা ইবরাহিমা আলাইহিমাস সালাতা ওয়াস সালাম।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি এ কুরবানী কবুল কর, যেমনিভাবে তোমার হাবীব মুহাম্মদ (সাঃ) এবং তোমার দোস্ত ইব্রাহীম (আঃ) এর পক্ষ হতে (কুরবানী) কবুল করেছিলে।

 

লক্ষ্যণীয় হলো- যদি নিজের (যবেহকারী) কুরবানী হয়, তবে তাঁর মিন্নী বলতে হবে। আর যদি অন্যের কুরবানী হয়, ‘মিন্নী’ শব্দের পরিবর্তে মিন শব্দ বলার পর যার বা যাদের কুরবানী, তার বা তাদের নাম উল্লেখ করতে হবে। আর যদি যবেহকারী অন্যের সাথে শরীক হয়, তাহলে তাঁর মিন্নী ও বলবে, অতঃপর মিন বলে শরীকদের নাম বলতে হবে।

 

উল্লেখ্য, শুধু ‘বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার' পড়ে পশু জবাই করলেও কোরবানি সহিহ হয়ে যায়। (আবু দাউদ, হাঃ ২৮১০)

 

কারণ নিয়ত অন্তরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তবে অবশ্যই প্রত্যেক যবেহকারীর উচিত উপরোক্ত দোয়া শিক্ষা করা। কেননা উপরোক্ত দোয়া পাঠ করে কুরবানী করা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।


আরো পড়তে পারেনঃ

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ

নামাজ বা সালাত আদায়ের নিয়ম-Namaj Adayer Niyom

৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

তওবা কবুল হওয়ার শর্ত/Taoba Kobul Hoyar Sorto

সালাতুস তাসবীহ

দোয়া করার নিয়ম

শাওয়ালের ছয় রোজা

হজের প্রস্তুতি/Hajj 2022

হজ্জের ফরয, ওয়াজিব সুন্নাতসমূহ

হজ্জের গুরুত্ব ও ফযীলত-Hajjer Gurutto o Fajilat

বেসরকারিব্যবস্থাপনায় হজ করতে কত টাকা লাগবে?

এ বছর হজ করতে পারবেন ১০ লাখ

কোন দেশ থেকে কত মানুষ হজে যেতে পারবে

ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য-EdulFitorer Tatporjo

সদকায়ে ফিতর/ফিতরা এর মাসায়েল/sadkaye fittor

নামাজ ও যাকাত এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

মহানবীকে স্বপ্নে দেখার উপায়-Mohanobi ke sopne dekhar amol

যে সময় দোয়া কবুল হয়-Je Somoy Dua Korle Kobol Hoy

ঈদের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম-Eider namajer niyot o niyom

রোজা ভঙ্গের কারণসমুহ

রোজার মাকরুহসমূহ

রোজার কাফ্‌ফারা-র মাসায়েল

রোজার কাযার মাসায়েল

নফল রোজার মাসআলা/Nafal Rojar Masala

এতেকাফ-Etekaf-ইতেকাফ

এতেকাফ এর মাসাআলা/Etekaf er Masala/এতেকাফের শর্তসমূহ

শবে কদর, এ'তেকাফ ও ফিতরা মাসআলা

লাইলাতুল কদরের ফজিলত

তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত

সূরা ফাতিহা/Surah Fatiha

সূরা ফাতিহার শানে নুযূল/ Sura Fatihar Sane Nuzul

সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত/Sura Fatihar Fojilot

কবিরা গুনাহসমূহ/Kobira Gunahasomuh

পাঁচ কালেমা আরবি ও বাংলা অর্থসহ উচ্চারণ/5 Kalema

শিরকের বিবরণ/Shirok

প্রস্রাব-পায়খানা করার নিয়ম/Prosrab-paykhana korar niyom

মা–বাবা সাথে সন্তানের আচরণ কেমন হবে/Baba-Maa

Popular Posts