ইসলামের বিধান অনুযায়ী যে সব চন্দ্রমাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ, খুন-খারাবী সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ মহররম মাস তার অন্যমত। এ মাসের সম্মান ও মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল বিভিন্ন ভাবে বাণী (হাদীছ) দিয়ে গিয়েছেন। হক্কানী আলেমগণ এ বিষয়ে নানা উক্তিও করিয়া গিয়াছেন কাজেই এর প্রতি মর্যাদা ও সম্মান প্রদর্শন করা সকলের প্রতি কর্তব্য ছাওয়া বের কাজ। আর এ মাসে যে যত ছওয়াব ও পুণ্যের কাজ করিতে পারিবে, তার ভবিষ্যত তত উজ্জ্বল ও সন্তুষ্টের কারণ হইবে। পাপী মানুষ ব্যতীত এ মাসের অবহেলা করে না।
এ মাস তওবা কবুল হবার মাস, তাই নিজ নিজ গুনাহ হইতে তওবা করিয়া লওয়া প্রত্যেকের
জন্য অবশ্য করণীয়। দোজখের মহা সংকট হইতে রেহাই পাইবার ইহাই একমাত্র উপায়। রসুল বলেন-
মৃত্যু আগমনের পূর্বে সকলের তওবা করিয়া লওয়া উচিত, মালের অপচয়ের পূর্বে দান ছদক করা
বুদ্ধিমানের কাজ। অর্থাৎ প্রত্যেকটি নেক কাজ সময় আগমনের পূর্বেই সারিতে হইবে, আর এটাই
হইল নেক ও ভাল মানুষের আদর্শ ও চরিত্র।
আরোও পড়তে পারেনঃ
নামাযের
প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ
নামাজ বা
সালাত আদায়ের নিয়ম-Namaj Adayer Niyom
নামাযের গুরুত্বপূর্ণ
মাসালা/Namajer Gurottpourno Masala
কাযা নামায পড়ার নিয়ম/Kaja Namaz Porar Niyom
মহররম চাঁদের দ্বিতীয় সপ্তাহে অর্থাৎ ১০ই মহররম আশুরা দিবস। এই দিবসের ফজিলত ও সম্মান সর্বাধিক। এই দিবসে আদম নবীর রোনাজারি ও ফরিয়াদ অন্তে আল্লাহ তাঁর তওবা কবুল করে তাঁকে ক্ষমাপ্রাপ্ত করিয়াছেন, ইদ্রীস নবীকে এ দিনেই জিন্দা বেহেশতে উঠাইয়া নিওয়া হয়, নূহ নবী ও তাঁর সাথীরা এ দিবসেই সামান্য পাথেয় সত্ত্বেও নৌকায় আশ্রয়ে নাজাত পান, এদিবসে আল্লাহ ইব্রাহীম (আঃ) কে অগ্নি নির্বাপিত করেন। মুসা নবী এ দিবস খোদার সাথে কথা বলিয়াছেন ও তওরাত কিতাব প্রাপ্ত হইয়ানে। আর এ দিবসেই আল্লাহ ইউনুস নবীকে মাছের পেট হইতে বাহিরে আনেন, নীলনদে বনী ইস্রাঈলদের এ দিবসে রাস্তা আবিষ্কার হইয়ালি। এ দিবসে দাউদ নবী ক্ষমা ও তার পুত্র সুলাইমান (আঃ) আল্লাহর অনুগ্রহে রাজত্ব ফিরিয়া পান। এ দিবসে ঈসা নবী উর্ধ্বে নীত ও রহমতসহ জিব্রাইল ধরায় অবতীর্ণ হন। এ দিবসেই আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ (ছঃ) তাঁর যাবতীয় আপত্তিকর কার্য হইতে ক্ষমা পাইয়াছিলেন এবং রাসূলের নাতি ইমাম হোসাইন তাঁর সঙ্গীসহ কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন। এ দিবসেই ইঞ্জীল নাজিল এবং আইউব নবী রোগমুক্ত হইয়াছিলেন ও মৃত্যুকল্প ইউসুফ নবীকেও আল্লাহ এ দিবসেই পিতৃসদনে ফেরৎ দেন।
এ দিবসে আল্লাহ তায়ালা পৃথিবী সৃষ্টি
ও আকাশ হইতে ধরায় সর্বপ্রথম বৃষ্টিপাত ঘটান। আর এ আশুরা দিবসে আল্লাহ সর্বপ্রথম রহমত
নাজিল করেন।
আরোও পড়তে পারেনঃ
নামাজ ছেড়ে দেয়ার পরিণতি/নামাজ না পড়ার
শাস্তি
নামাজ ছেড়ে দেয়ার পরিণতি/নামাজ না
পড়ার শাস্তি
সাহু
সিজদাহ করার নিয়ম/Sahu Sijdah Korar Niyom
নামায
অবস্থায় অযূ ভঙ্গ হলে করণীয়
এ দিবসে যে রোজা রাখবে জীবনভর রোজা
রাখার সওয়াব সে পাওয়া ছাড়াও চরম উন্নতি লাভ করবে। এতিমের মাথায় হাত মুছিয়া সোহাগ, ক্ষুধার্তকে
আন্নদান ও তৃষ্ণার্থকে এ দিবসে যে পানি পান করাইবে বেহশতে আল্লাহ তাকে আহার এবং বিহেশতী
“সালসাবীল” নামক প্রবাহ
হইতে পানি পার করাইবেন।
আয় আল্লাহ! এ মাসের বরকতে আমাদের
গ্রহণ কর এবং অধিক পুরস্কারের অধিকারী কর এবং অধিক পুরস্কারের অধিকারী কর। হে শ্রেষ্ঠ
করুণাশীল! যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর নিমিত্ত। বিতাড়িত শয়তান হইতে তোমার পানাহ চাইতেছি।
আল্লাহ সকলকে নেক আমলের তওফিক দান করুণ। আমীন!
আরো
পড়তে পারেনঃ
৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে
দ্রুত দোয়া কবুল হয়
তওবা কবুল হওয়ার শর্ত/Taoba Kobul
Hoyar Sorto
সালাতুস
তাসবীহ
দোয়া করার
নিয়ম
মহানবীকে
স্বপ্নে দেখার উপায়-Mohanobi ke sopne dekhar amol
যে সময়
দোয়া কবুল হয়-Je Somoy Dua Korle Kobol Hoy
আকিকার
গোসত কতদিন খাওয়া যাবে-Akikar Mangso
আকীকা এবং
কিছু ভ্রান্ত ধারণা/Akikar Niyom
তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়
ইবাদত
কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব
ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত
সূরা
ফাতিহা/Surah Fatiha
সূরা
ফাতিহার শানে নুযূল/ Sura Fatihar Sane Nuzul
সূরা
ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত/Sura Fatihar Fojilot
কবিরা গুনাহসমূহ/Kobira
Gunahasomuh
পাঁচ কালেমা আরবি ও বাংলা অর্থসহ
উচ্চারণ/5 Kalema
শিরকের বিবরণ/Shirok
প্রস্রাব-পায়খানা
করার নিয়ম/Prosrab-paykhana korar niyom
ঢিলা-কুলুখ ব্যবহারের নিয়ম/Ḍhila-kulukh beboharer niyom
মা-বাবা সাথে সন্তানের আচরণ কেমন
হবে/Baba-Maa
জুমুয়ার নামায পড়ার নিয়ত/Jumuwar namaz poṛar
niyot
জুমার গুরুত্ব ও ফজিলত/Jumar Gorotto o Fojilot
ইসলামে নারীর পর্দার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয
নামাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং নামাজ সম্পর্কে ঘটনা পর্ব ১
নামাজের প্রকারভেদ/
Foroj-Wajib-Sunnat-Nofol Namaj
ইসলামে মেহমানদারির গুরুত্ব ও বিধান/Mehomandari