রোজার বিবরণ
>>সাওম আরবি শব্দ। আর রোজা ফার্সি শব্দ। সাওম শব্দের অর্থ বিরত থাকা, আত্মসংযম ও কঠোর সাধনা। আর রোজা শব্দের অর্থ জ্বালিয়ে পুরিয়ে দেয়া। তাই একে সাওম ও রোজা হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে রোজা হচ্ছে মহান আল্লাহ তাআ’লার উদ্দেশ্যে নিয়তের সাথে সুবহে সাদেক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আহার-পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা। এ রোজা হচ্ছে ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের মধ্যে চতুর্থ। সমস্ত মানব জাতির আধ্যাত্মিক জগতের উন্নতি সাধন ও মহান আল্লাহর প্রশিক্ষণ গ্রহণের নিমিত্তে রোজার বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেন “তোমাদের উপর রোজা তথা সাওম ফরয করা হয়েছে, যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করা হয়েছিল, যাতে করে তোমরা তাকওয়াবান হতে পারো।’’ (সূরা বাকারাঃ আয়াতঃ ১৮৩)
>>হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও পর্যালোচনাসহ রমজান মাসের সিয়াম পালন করবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’’ (সহীহ বুখারী, হাঃ ৩৮)
>> হযরত সাহল বিন সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, জান্নাতের একটা দরজা আছে একে রাইয়ান বলা হয়। এই দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন একমাত্র সিয়াম পালনকারী ব্যক্তিই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের ছেড়া অন্য কেউ এই পথে প্রবেশ করবে না। সেদিন এই বলে আহ্বান করা হবে- সিয়াম পালনকারীগণ কোথায়? তারা যেন এই পথে প্রবেশ করে। এই ভাবে সকল সিয়াম পালনকারী ভেতরে প্রবেশ করার পর দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। অতঃপর এ পথে আর কেউ প্রবেশ করবে না।” (সহীহ বুখারী, হাঃ ১৮৯৬)
>>হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন- আল্লাহ তায়ালা বলেছেন সিয়াম ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য কিন্তু সিয়াম আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব। সিয়াম ঢালস্বরূপ। তোমাদের কেউ যেন সিয়াম পালনের দিন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে আমি সিয়াম পালনকারী। যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ তার শপথ অবশ্যই সিয়াম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের গন্ধের চেয়েও্ব সুগন্ধি। সিয়াম পালনকারীর জন্য রয়েছে দু’টি খুশি, যখন সে ইফতারকরে এবং যখন সে তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎ করবে তখন সাওমের বিনিময়ে আনন্দিত হবে।” (সহীহ বুখারী, হাঃ ১৯০৪)
>>হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন- তোমাদের মাঝে রমজান মাস উপস্থিত, এটা এক অত্যন্ত বরকতময় মাস। আল্লাহ তা’য়ালা এ মাসে তোমাদের প্রতি সাওম ফরজ করেছেন। এ মাসে আকাশের দরজাসমূহ উন্মুক্ত হয়ে যায়, এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এ মাসে বড় বড়শয়তানগুলোকে আটক রাখা হয়। এমাসে এমন একটি রাত আছে যা হাজার মাসের চেয়েও অনেক উত্তম। যে লোক এ রাত্রির মহা কল্যাণলাভ হতে বঞ্চিত থাকলো সে সত্যিই বঞ্চিত ব্যক্তি।” (সুনান আন-নাসায়ী, হাঃ ২১১০)
নফল রোজার মাসআলা/Nafal Rojar Masala
এতেকাফ এর মাসাআলা/Etekaf
er Masala/এতেকাফের শর্তসমূহ
যেসব কারণে এতেকাফ ফাসেদ তথা নষ্ট
হয়ে যায় এবং কাযা করতে হয়
শবে কদর, এ'তেকাফ ও ফিতরা মাসআলা
হজ্জের গুরুত্ব
ও ফযীলত-Hajjer Gurutto o Fajilat
ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য-EdulFitorer Tatporjo
সদকায়ে ফিতর/ফিতরা এর মাসায়েল/sadkaye fittor/fitara er masayel
নামাজ ও যাকাত এর
গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
কুরবানীর ইতিহাস,
তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল
লাইলাতুল
কদরের ফজিলত
৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে
দ্রুত দোয়া কবুল হয়
তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়
ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব
ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত
নামাযের প্রয়োজনীয়দোয়াসমূহ
নামাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং নামাজ সম্পর্কে ঘটনা
পর্ব ১
নামাজের প্রকারভেদ/ Foroj-Wajib-Sunnat-Nofol Namaj
ইসলামে মেহমানদারির
গুরুত্ব ও বিধান/Mehomandari