Breaking

June 2, 2022

সাহু সিজদাহ করার নিয়ম/Sahu Sijdah Korar Niyom

 

সাহু সিজদাহ করার নিয়ম

নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পরে দরূর শরীফ পাঠ না করে ডান দিকে সালাম ফিরানোর পরে পর পর দুইটি সিজদাহ্ করে নিতে হয়। অতঃপর পুনরায় তাশাহহুদ, দরূদ শরীফ ও দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ করে দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবে।

 

কখন সাহু সিজদাহ করতে হয়

(১) নামাযের মধ্যে কোন ওয়াজিব একেবারে তরক বা ছুটে গেলে।

(২) সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর অন্য সূরা বা আয়াত পড়ার মধ্যখানে চিন্তা করতে করতে তিন তাসবহি পর্যন্ত বিলম্ব ঘটলে।

(৩) কেরাতের আগে রুকু করলে।

(8) এক রাকাতে দুইবার রুকু করলে।

(৫) সূরা ফাতিহার স্থলে তাশাহহুদ পাঠ করে ফেললে।

(৬) সূরার মধ্যে ভুল করে ফেলার পর ঠিক করে নিতে নিতে তিন তাসবহি পরিমান বিলম্ব করলে।

(৭) বিতির নামাযে দোয়ায়ে কুনুত পাঠ করার পূর্বে রুকুতে চলে গেলে।

(৮) তিন বা চাররাকাত বিশিষ্ট নামাযের মধ্যে দুই রাকাত আদায় করার পর বসে তাশাহহুদ পড়ার সাথে সাথে ভুলক্রমে দরূদ শরীফ পড়া শুরু করলে।

(৯) শেষ বৈঠকে না বসে দণ্ডায়মান হয়ে গেলে।

(১০) প্রথম বৈঠকে না বসে দাঁড়াইয়া গেলে।

(১১) নামাযের কোন রোকনের মধ্যে অনর্থক বিলম্ব করলে।

(১২) তাশাহহুদের পর সঙ্গে সঙ্গে না দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ বিলম্ব করে ফেললে।

(১৩) নামাযের তারতীব ঠিকমত রক্ষা না করলে অর্থাৎ রুকুর পূর্বে সিজদা করে ফেললে সাহুসিজদা করতে হবে।

 

সম্পর্কিত পোষ্ট

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ

নামাজ ও যাকাত এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

নামাজ বা সালাত আদায়ের নিয়ম


মাসবুক ব্যক্তির নামায আদায়ের নিয়ম

 

জামায়াতে নামাযের কিছু অংশ পড়া হয়ে যাবার পর যে- ব্যক্তি জামায়াতে শামিল হয়, তাকে 'মাসবুক' বলে। তার নামায আদায় সম্পর্কিত মাসয়ালা নিম্নরূপ।

 

মাসবুক ব্যক্তি যদি জামায়াতের নামাযে প্রথম রাকায়াতে ইমামকে রুকুর অবস্থায় পেয়ে তৎক্ষণাৎ শামিল হয় তা হলে সে পুরা নামাযই পেয়েছে বলে বিবেচিত হবে।

কেননা, যে রুকু পেল, সে পুরা রাকায়াতই পেল। সুতরাং সে যথারীতি ইমামের সঙ্গে সালাম ফিরাবে।

 

যোহর, আসর কিংবা এশার নামাযের জামায়াতে এক রাকায়াত বাকি থাকলে শামিল হলে, ইমাম সালাম ফিরানোর পর মাসবুক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সানা, আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ এবং আলহামদু সূরা পড়ে তার সঙ্গে অন্য কোনো সূরা অথবা কয়েকটি আয়াত পড়ে তারপর যথারীতি রুক সেজদা করবে এবং সেজদার পর বসে 'আত্তাহিয়্যাতু, আবদুহু ওয়ারাসুলুহ পর্যন্ত পড়ে আবার দাঁড়াবে এবং বিসমিল্লাহ, আলহামদু সূরাও তার সঙ্গে অন্য কোনো সূরা পড়ে শেষ বৈঠক করে আত্তাহিয়্যাতু, দরূদ ও দোয়া মাসূরা পড়ে সালাম ফিরাবে।

 

যদি দুই রাকাত পড়া হয়ে যাওয়ার পর তৃতীয় রাকায়াতে শামিল হয়ে থাকে তা হলে ইমামের সালাম ফিরানোর পর সে দাঁড়িয়ে যথারীতি দুই রাকায়াত নামায় একাকী পড়লে যে নিয়মে পড়ত, ঠিক সেই নিয়মেই পড়বে অর্থাৎ, ইমামের সালামের পর দাঁড়িয়ে সুবহানাকা, আউজুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ আলহামদু সূরা ও অন্য একটি সূরা বা কয়েকটি আয়াত পড়ে যথাক্রমে রুকু সেজদা ও শেষ বৈঠক করে নামায শেষ করবে।

 

ফজরের নামাযে এক রাকায়াত সামনে থাকতে জামায়াতে শামিল হলে ইমামের সালাম ফিরানোর পর দাঁড়িয়ে একাকী এক রাকয়াত যথা নিয়মে আলহামদু পড়ে তারপর অন্য যে কোন সূরা অনুচ্ছস্বরে পড়ে রুকু সেজদা ও শেষ বৈঠক করে নিজে সালাম ফিরাবে। মাসবুক ব্যক্তি নিজের শেষ বৈঠকের পূর্বে, ইমামের সঙ্গে যতবার বৈঠক করবে ততবার আত্তাহিয়্যাতু.....আবদুহ ওয়ারাসূলুহু পর্যন্ত পড়া উত্তম। আলোচ্য ক্ষেত্রে মাসবুক ব্যক্তির দুই বৈঠক হবে: একবার ইমামের সঙ্গে আবার ছুটে যাওয়া এক রাকায়াত পড়ার পর নিজে একাকী বাকী নামায শেষ করবে।

 

মাগরিবের জামায়াতে এক রাকায়াত সামনে থাকতে শামিল হলে, ইমাম সালাম ফিরানোর পর, মাসবুক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আলহামদু পড়ে তারপর অন্য যে কোন সূরা অনুচ্ছম্বরে পড়ে রুকু সেজদার পর বসবে। বসে আত্তাহিয়্যাতু- আবদুহু ওয়া রাসূলুহু পর্যন্ত পড়ে আবার দাঁড়াবে এবং আর এক রাকায়াত এভাবে আলহামদু পড়ে তারপর অন্য যে কোনো সূরা অনুচ্ছম্বরে পড়ে শেষ বৈঠক করবে। শেষ বৈঠকে যা কিছু পড়তে হয়, সব পড়ে সালাম ফিরাবে। এভাবে তার রাকায়াতে তিন বৈঠক হবে, ইমামের সঙ্গে একবার এবং নিজে একাকী দুইবার।

 

মাগরিবের জামায়াতে এক রাকায়াত ছুটে গিয়ে থাকলে অর্থাৎ, দ্বিতীয় রাকয়াতে শামিল হয়ে থাকলে, ইমামের সালাম ফিরাইবার পর, নিজে একাকী এক রাকয়াত যথারীতি আলহামদু পড়ে তারপর অন্য যে কোন সূরা অনুচ্চস্বরে পড়ে শেষ বৈঠক করবে। এ ক্ষেত্রেও তার তিন রাকায়াতে তিন বৈঠক হবে; ইমামের সঙ্গে দুইবার এবং নিজ একা একবার।

 

ইমামের সূরা কেরাত পড়ার সময়ে মাসবুক ব্যক্তি জামায়াতে শামিল হলে নিয়ত ও তাকবীরে তাহরীমা বেঁধে চুপ থাকবে; তখন তার সুবহানাকা পড়তে হবে না।


আরো পড়তে পারেনঃ

৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

তওবা কবুল হওয়ার শর্ত

সালাতুস তাসবীহ

দোয়া করার নিয়ম

হজের প্রস্তুতি 2022

হজ্জের ফরয, ওয়াজিব সুন্নাতসমূহ

হজ্জের গুরুত্ব ও ফযীলত

বেসরকারিব্যবস্থাপনায় হজ করতে কত টাকা লাগবে?

এ বছর হজ করতে পারবেন ১০ লাখ

কোন দেশ থেকে কত মানুষ হজে যেতে পারবে

কুরবানীর ইতিহাস, তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল

কোরবানীর ইতিহাস ও ওয়াজিব হওয়ার শর্ত

কুরবানির পশু জবাইয়ের দোয়া ও পদ্ধতি

পশু যবেহ করার সময় বিশেষ লক্ষণীয় ও কর্তব্য

মহানবীকে স্বপ্নে দেখার উপায়

যে সময় দোয়া কবুল হয়

ঈদের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম

আকিকার গোসত কতদিন খাওয়া যাবে

আকীকা এবং কিছু ভ্রান্ত ধারণা

রোজার কাফ্‌ফারা-র মাসায়েল

রোজার কাযার মাসায়েল

নফল রোজার মাসআলা

ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত

সূরা ফাতিহা

সূরা ফাতিহার শানে নুযূল

সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত

কবিরা গুনাহসমূহ

পাঁচ কালেমা আরবি ও বাংলা অর্থসহ উচ্চারণ

শিরকের বিবরণ

প্রস্রাব-পায়খানা করার নিয়ম

ঢিলা-কুলুখ ব্যবহারের নিয়ম

মা-বাবা সাথে সন্তানের আচরণ কেমন হবে/Baba-Maa

Popular Posts