Breaking

April 9, 2022

যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় কিন্তু শুধু কাযা ওয়াজিব হয়


রমজান মাস রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস। পবিত্র রমজান মাসে মুসলিম উম্মাহ সঠিকভাবে রোজা রাখতে চায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না কি কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় বা নষ্ট হয়। তাই রোজা ভাঙার বা ভঙ্গের কারণগুলো তুলে ধরা হলো-


যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায় কিন্তু শুধু কাযা ওয়াজিব হয়

 

১। কানে বা নাকে ওষুধ দিলে।

২। ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি করলে বা অল্প বমি আসার পর তা গিলে ফেললে।

৩। কুলি করার সময় অনিচ্ছাবশত কণ্ঠনালিতে পান চলে গেলে।

৪। স্ত্রী বা কোন নারীকে শুধু স্পর্শ প্রভৃতি করার কারণেই বীর্যপাত হয়ে গেলে।

৫। এমন কোন জিনিস খেলে যা সাধারণত খাওয়া হয় না। যেমনঃ কাঠ, লোহা, কাগজ, পাথার, মাটি, কয়লা ইত্যাদি।

৬। আগরবাতি, বিড়ি-সিগারেট, হুক্কা প্রভৃতির ধোঁয়া ইচ্ছাকৃতভাবে নাকে বা হলকে পৌঁছালে।

৭। ভুলে পানাহার করার পর রোজা ভেঙ্গে গেছে মনে করে আবার ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কিছু পানাহার করলে।

৮। রাত আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পরে সেহরী খেলে।

৯। ইফতারীর সময় হয়নি, দিন রয়ে গেছে অথচ সময় হয়ে গেছে এই মনে করে ইফতারী করলে।

১০। দুপুরের পরে রোজার নিয়ত করলে।

১১। দাত দিয়ে রক্ত বের হলে তা যদি থুথুর চেয়ে পরিমাণে বেশি হয় এবং কণ্ঠনালীর নিচে চলে যায়।

১২। কেউ জোরপূর্বক রোজাদারের মুখে কোন কিছু দিলে এবং তা কণ্ঠনালীতে পৌঁছে গেলে।

১৩। দাঁতে কোন খাদ্য-টুকরা আটকে ছিল সুবহে সাদিকের পর তা যদি পেটে চলে যায় তবে সে টুকরো ছোলা বুটের চেয়ে ছোট হলে রোজা ভেঙ্গে যায় না, তবে এরূপ করা মাকরূহ। কিন্তু মুখ থেকে বের করার পর গিলে ফেললে তা যতই ছোট হোক না কেন রোজা কাযা করতে হবে।

১৪। হস্তমৈথুন করলে যদি বীর্যপাত হয়।

১৫। পেশাবের রাস্তায় বা স্ত্রীর যোনিতে কোন ওষুধ প্রবেশ করালে।

১৬। পানি বা তেল দ্বারা ভিজা আঙ্গুল যোনিতে বা পায়খানার রাস্তায় প্রবেশ করালে।

১৭। মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে গেলে এবং এ অবস্থায় সুবহে সাদিক হয়ে গেলে।

১৮। নস্যি গ্রহণ করলে বা কানে তেল ঢাললে।

১৯। কেউ রোজার নিয়তই যদি না করে তাহলেও শুধু কাযা ওয়াজিব হয়।

২০। স্ত্রী বেহুঁশ থাকা অবস্থায় কিংবা বে-খবর ঘুমন্ত অবস্থায় তার সাথে সহবাস করা হলে ঐ স্ত্রীর উপর শুধু কাযা ওয়াজিব হয়।

২১। এক দেশে রোজা শুরু করার পর অন্য দেশে চলে গেলে সেখানে যদি নিজের দেশের তুলনায় আগে ঈদ হয়ে যায় তাহলে নিজের দেশের হিসাবে যে কয়টা রোজা বাদ গিয়েছে তার কাযা করতে হবে। আর যদি সেখানে গিয়ে রোজা এক দু’টো বেড়ে যায় তাহলে সেই এক দু’টো রাখতে হবে।

ইসলামে রোজার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। আলোর পথের যাত্রীরা আসুন আমরা সবাই রোজার হক যথা যথ ভাবে আদায় করি, যেন কাল আশরের ময়দানে রোজা আমাদের বিপক্ষে স্বাক্ষী না দেয় বরং আমাদের নাজাতের উসিলা হয়ে দাঁড়ায়।


আরো পড়তে পারেনঃ

রোজার গুরুত্ব

রোজা ভঙ্গের কারণসমুহ

রোজার মাকরুহসমূহ

রোজার কাফ্‌ফারা-র মাসায়েল

রোজার কাযার মাসায়েল

নফল রোজার মাসআলা/Nafal Rojar Masala

এতেকাফ-Etekaf-ইতেকাফ

এতেকাফ এর মাসাআলা/Etekaf er Masala/এতেকাফের শর্তসমূহ

যেসব কারণে এতেকাফ ফাসেদ তথা নষ্ট হয়ে যায় এবং কাযা করতে হয়

শবে কদর, এ'তেকাফ ও ফিতরা মাসআলা

শাওয়ালের ছয় রোজা

হজ্জের গুরুত্ব ও ফযীলত-Hajjer Gurutto o Fajilat

ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য-EdulFitorer Tatporjo

সদকায়ে ফিতর/ফিতরা এর মাসায়েল/sadkaye fittor/fitara er masayel

নামাজ ও যাকাত এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

কুরবানীর ইতিহাস, তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল

লাইলাতুল কদরের ফজিলত

৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ


Popular Posts