Breaking

April 13, 2022

এতেকাফ এর মাসাআলা/Etekaf er Masala/এতেকাফের শর্তসমূহ

দুনিয়ার সকল আকর্ষণ থেকে মুক্ত হয়ে, সকল মায়া ত্যাগ করে, সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে যাওয়ার নামই ইতিকাফ। 

ইতিকাফ শব্দের আভিধানিক অর্থ স্থির থাকা, আবদ্ধ হওয়া, অবস্থান করা। শরীয়তের পরিভাষায় সওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে দুনিয়া ও পারলৌকিক যাবতীয় যোগাযোগ ত্যাগ করে মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'আমি ইব্রাহিম ও ইসমাঈলকে নির্দেশ দিয়েছিলাম, আমার ঘরকে তাওয়াফ, ইতিকাফ এবং রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখ। (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৫)। আম্মাজান হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। তার মৃত্যুর পরও তার স্ত্রীগণ (বাড়িতে) ইতিকাফ করতেন। (বুখারি ও মুসলিম; আলফিয়াত আল-হাদিস: 546, পৃষ্ঠা: 129)।

ইতিকাফ একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ইবাদত। রমজানের শেষ দশকে অর্থাৎ ২০ রমজান সূর্যাস্তের আগে ঈদের চাঁদ দেখা যায় অর্থাৎ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায় বা ৩০ রমজান শেষ হওয়ার পর ওই দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত ইতিকাফ করা হয়। কয়েক জন বা একজন মসজিদে ইতিকাফ করলে সবাই দায় থেকে অব্যাহতি পাবে। আর যদি কেউ তা না করে তবে সুন্নত তরকের জন্য সবাই দায়ী। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে যিনি বা যারা আদায় করবেন, কেবল তিনি বা তারাই সওয়াবের অধিকারী হবেন।

এতেকাফ এর মাসাআলা

 

Ø এ’তেকাফ অর্থ স্থির থাকা, অবস্থান করা। পরিভাষায় জাগতিক কার্যকলাপ ও পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ছওয়াবের নিয়তে মসজিদে বা ঘরের নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করা ও স্থির থাকাকে এ’তেকাফ বলে।

 

Ø রমজানের শেষ দশকে এ’তেকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কেফায়া, অর্থাৎ বড় গ্রাম বা শহরের প্রত্যেকটা মহল্লা এবং ছোট গ্রামের পূর্ব বসতিতে কেউ এ’তেকাফ করলে সকলেই দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। আর কেউই না করলে সকলেই সুন্নাত তরকের জন্য দায়ী হবে।

 

Ø  রমজানের ২০ তারিখে সূর্যাস্তের পূর্ব থেকে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা পর্যন্ত এ’তেকাফের সময়।

 

এতেকাফের শর্তসমূহ

এ’তেকাফের জন্য তিনটি শর্ত। যথাঃ

       ১। এমন মসজিদে এ’তেকাফ হতে হবে যেখানে নামাজের জামাআত হয়। জুমুআ-র জামাআত হোক বা না হোক। এ শর্ত পুরুষদের এ’তেকাফের ক্ষেত্রে। মহিলাগণ ঘরের নির্দিষ্ট স্থানে এ’তেকাফ করবে।

২। এ’তেকাফের নিয়ত করতে হবে।

৩। হায়েয নেফাস শুরু হলে এ’তেকাফ ছেড়ে দিতে হবে।

 

আরো পড়তে পারেনঃ

রোজার গুরুত্ব

রোজা ভঙ্গের কারণসমুহ

রোজার মাকরুহসমূহ

রোজার কাফ্‌ফারা-র মাসায়েল

রোজার কাযার মাসায়েল

নফল রোজার মাসআলা/Nafal Rojar Masala

এতেকাফ-Etekaf-ইতেকাফ

এতেকাফ এর মাসাআলা/Etekaf er Masala/এতেকাফের শর্তসমূহ

যেসব কারণে এতেকাফ ফাসেদ তথা নষ্ট হয়ে যায় এবং কাযা করতে হয়

শবে কদর, এ'তেকাফ ও ফিতরা মাসআলা

শাওয়ালের ছয় রোজা

হজ্জের গুরুত্ব ও ফযীলত-Hajjer Gurutto o Fajilat

ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য-EdulFitorer Tatporjo

সদকায়ে ফিতর/ফিতরা এর মাসায়েল/sadkaye fittor/fitara er masayel

নামাজ ও যাকাত এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

কুরবানীর ইতিহাস, তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল

লাইলাতুল কদরের ফজিলত

৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত

নামাযের প্রয়োজনীয়দোয়াসমূহ

মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয

মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছদ

নামাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং নামাজ সম্পর্কে ঘটনা পর্ব ১

নামাজের প্রকারভেদ/ Foroj-Wajib-Sunnat-Nofol Namaj

ইসলামে মেহমানদারির গুরুত্ব ও বিধান/Mehomandari

ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার পর্ব ১

ফকির মিসকীনের হক বা অধিকার/Fokir Miskiner Odhikar

Popular Posts