Breaking

July 29, 2022

ফকির মিসকীনের হক বা অধিকার/Fokir Miskiner Odhikar

 ফকীর ও মিসকীনদের অধিকার


     রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ (মানুষকে লক্ষ্য করে) বলবেন- "হে আদম সন্তান। আমি তোমার নিকট খাবার চেয়েছিলাম। কিন্তু তুমি আমাকে খাবার দাওনি।" সে ব্যক্তি নিবেদন করবে, "হে আমার প্রতিপালক। আমি তোমাকে কিভাবে খাওয়াতে পারি? তুমিই তো সমগ্র সৃষ্টির পালনকর্তা। " আল্লাহ বলবেন, তুমি কি জান না ? আমার অমুক বান্দা তোমার নিকট খাবার চেয়েছিল। তুমি তাকে খাবার দাওনি। তোমার কি জানা ছিল না, যদি তাকে সেদিন খাওয়াতে তাহলে আজ সে খাবার আমার নিকট পেতে।

হে আদম সন্তান' আমি তোমার নিকট পানি পান করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি আমাকে পানি পান করাওনি। সে আরজ করবে হে আমার প্রতিপালক। আমি কিভাবে তোমার তৃষ্ণা নিবারণ করতাম। তুমিই তো সমস্ত বিশ্বজাহানের পালনকর্তা। আল্লাহ বলবেন, আমার অমুক বান্দা তোমার নিকট পানি চেয়েছিলো। তুমি তাকে পানি দাওনি, তুমি সেদিন তাকে পানি পান করাতে তাহলে সে পানি আজ আমার এখানে পেতে। -মুসলিম

ব্যাখ্যাঃ এ হাদীস দ্বারা বুঝা গেলো। ক্ষুধার্তকে খাবার দেয়া ও তৃষ্ণার্তের তৃষ্ণা নিবারণ করা অত্যন্ত ছওয়াবের কাজ। এ ধরনের সৎকাজের দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভ করা যায় ।


আরোও পড়তে পারেন

আকীকা এবং কিছু ভ্রান্ত ধারণা/Akikar Niyom

মহানবীকে স্বপ্নে দেখার উপায়-Mohanobi ke sopne dekhar amol

যে সময় দোয়া কবুল হয়-Je Somoy Dua Korle Kobol Hoy



ক্ষুধার্তকে খাদ্যদানঃ

 

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أفصل الصدقة أن تشيع كبدا جائعا - مشكوة ـ انس رض


শব্দের অর্থঃ আফযালুস সাদাকাতি -সর্বোত্তম সাদকা। আন তুশবিআ-পেটপুরে খাওয়ানো। জায়িয়ান-ক্ষুধার্তকে।

     রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সর্বোত্তম সাদকা হলো কোন ক্ষুধার্তকে পেটপুরে খাওয়ানো। -মিশকাত

সাহায্য প্রার্থীর সাথে আচরণঃ


قـال رسـول الله صلى الله عليه وسلم ردو االسائل ولو بظلف مـحـرق مشكوة انس رض

 

শব্দের অর্থঃ রুদ্দু-কিছু না দিয়ে বিদায় করো। আসসায়িলা- সাহায্য প্রার্থীকে। বিজিলফিন-পায়া। মুহরাকীন-ঝলসানো

 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সাহায্য প্রার্থীকে কিছু না কিছু দিয়ে বিদায় করো যদি সেটা ঝলসানো পায়াও হয়। -মিশকাত

ব্যাখ্যাঃ অর্থাৎ যদি কোন দরিদ্র সাহায্যপ্রার্থী তোমার দরজায় সাহায্যের জন্যে আসে, তবে তাকে বিমুখ করে খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়ো না। কিছু না কিছু দেয়ার জন্যে অবশ্যই চেষ্টা করো। ঘরে যদি দেয়ার মতো কোন ভাল জিনিস না থাকে তবে যৎসামান্য জিনিস হলেও হাতে দিয়ে দিও। তবু খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়ো না।


আরোও পড়তে পারেন

মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয

মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছদ

ইসলামে নারীর পর্দার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

প্রস্রাব-পায়খানা করার নিয়ম/Prosrab-paykhana korar niyom





সহানুভূতি পাবার যোগ্য মিসকিনঃ


(
١٩٤) قـال النّبي صلى الله علـيـه وسـلـم ليس المسكين الذي يطوف علي الناس ترده اللقمة واللقمتان والثمرة والثمرتان، ولكي المسكين الذي لايجد علي يعنيه ولا يقطر له فيتصدق عليـه ولا يقوم فيسال الناس - بحاري، مسلم


শব্দের অর্থঃ ইয়াতুফু-দ্বারে দ্বারে ঘুরা। আলাসি-লোকদের কাছে। তারুদ্দুহু-তাকে বিদায় দেয়া হয় । ওয়ালা ইউফতানু লাহু-তার বিষয়ে কিছু বুঝে না । ফাইয়াতাসাদ্দাকু-তারপর তাকে সাদকা দিবে। ফাইয়াসআলু -সে ভিক্ষা করবে।

     রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে ব্যক্তি মিসকীন নয় যে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে একমুঠো দু'মুঠো করে খাবার চেয়ে ও একটি দু'টো করে খেজুর সংগ্রহ করে বেড়ায়। সত্যিকারের মিসকীন হলো ঐ ব্যক্তি যার প্রয়োজন পূরণের মতো সম্পদ নেই এবং লোকেরাও তার অভাবের কথা না জানার কারণে সাহায্য করতে পারে না। সে মানুষের কাছেও হাত পেতে ফিরে না। -বুখারী, মুসলিম

ব্যাখ্যাঃ এ হাদীসে আল্লাহর রাসূল মুসলিম জাতিকে এ উপদেশ দিয়েছেন যে, সাহায্য করার জন্যে এমন ধরনের লোককে খুঁজে বের করতে হবে যারা দরিদ্র ও অভাব অনটনে জর্জরিত। কিন্তু সম্ভ্রম ও আত্মসম্মান বোধের কারণে কারো কাছে হাত পাততে পারে না। মিসকীনদের ন্যায় চেহারা করে ঘুরতেও পারে না। এ ধরনের অভাবী ও দরিদ্রকে খুঁজে খুঁজে বের করে সাহায্য করা অত্যন্ত ছওয়াবের কাজ।

 



বিধবা ও মিসকীনদের প্রতি লক্ষ্য রাখার ফযীলতঃ

 

قال النبي صلى الله علـيـه وسـلـم السـاعي علي الأرملة والمسكين كالمجاهد في سبيل الله واحسبه، قال وكالقائم الدي لايفتر وكالصائم الذي لا يفطر - بحاري ابو هريرة


শব্দের অর্থঃ আসসায়িউ-চেষ্টা তদবীরকারী। আল আরমালাতি-বিধবা । আহসাবুহু কালা-আমার মনে হয় তিনি বলেছেন। লা ইয়াফতুরু-সে ক্লান্ত হয় না।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বিধবা ও মিকীনদের (অভাব অনটন দূর করার) জন্য চেষ্টা-তদবীরকারীর মর্যাদা ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করে। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন- আমি মনে করি তিনি বলেছেন, ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে সারা রাত জেগে আল্লাহর বন্দেগী করে এবং ইফতার না করে একাধারে রোযা রাখে। -বুখারী মুসলিম

আরো পড়তে পারেনঃ

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ

নামাজ বা সালাত আদায়ের নিয়ম-Namaj Adayer Niyom

নামাযের গুরুত্বপূর্ণ মাসালা/Namajer Gurottpourno Masala

কাযা নামায পড়ার নিয়ম/Kaja Namaz Porar Niyom

নামাজ ছেড়ে দেয়ার পরিণতি/নামাজ না পড়ার শাস্তি

প্রথম কাতারে নামায পড়ার ফযীলত/Protom Katare Namaz Porar Fojiot

সাহু সিজদাহ করার নিয়ম/Sahu Sijdah Korar Niyom

নামায অবস্থায় অযূ ভঙ্গ হলে করণীয়

৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

তওবা কবুল হওয়ার শর্ত/Taoba Kobul Hoyar Sorto

সালাতুস তাসবীহ

দোয়া করার নিয়ম

নামাজ ও যাকাত এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

জাকাতের হিসাব করবেন যেভাবে ২০২২/Zakat 2022

তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত

সূরা ফাতিহা/Surah Fatiha

সূরা ফাতিহার শানে নুযূল/ Sura Fatihar Sane Nuzul

সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত/Sura Fatihar Fojilot

কবিরা গুনাহসমূহ/Kobira Gunahasomuh

পাঁচ কালেমা আরবি ও বাংলা অর্থসহ উচ্চারণ/5 Kalema

শিরকের বিবরণ/Shirok

নামাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং নামাজ সম্পর্কে ঘটনা পর্ব ১

নামাজের প্রকারভেদ/ Foroj-Wajib-Sunnat-Nofol Namaj

ইসলামে মেহমানদারির গুরুত্ব ও বিধান/Mehomandari

ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার পর্ব ১

Popular Posts