Breaking

June 5, 2022

নামায অবস্থায় অযূ ভঙ্গ হলে করণীয়

 

নামায অবস্থায় অযূ ভঙ্গ হলে করণীয়

 

নামাযে থাকা অবস্থায় স্বেচ্ছায় উচ্চঃস্বরে হাসা অথবা স্বেচ্ছায় নিজের শরীরের কোনো স্থানে আঘাত করে রক্ত প্রবাহিত করা অথবা স্বেচ্ছায় পেট থেকে বায়ু নিঃসরণ করা

অথবা অপর কারো দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হয়ে শরীরের কোন স্থান থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়া-ইত্যাদি কারণে অযূ ভঙ্গ হয়ে যায় এবং তার সঙ্গে সঙ্গে তার নামাযও ভঙ্গ হয়ে যায়।

যদি নামাযে থাকা অবস্থায় এমন কোন অবস্থা দেখা দেয়, যা সচরাচর হয় না, বরং খুবই বিরল হয়, যেমন- পাগল, মাতাল হওয়া ইত্যাদি। এমন হলেও নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে। কিন্তু যদি এরূপ কোন অবস্থা দেখা দেয়, যা সচরাচর ঘটতে পারে। যেমন বায়ু নিঃসরণ, মল-মূত্র নির্গমণ, তা হলে অযু ভঙ্গ হয়ে যাবে। কিন্তু তাড়াতাড়ি অযূ করে এসে, পূর্বে যে কয় রাকায়াত পড়া হয়েছে, তা বাদে অবশিষ্ট কয়েক রাকায়াত পড়ে নামায পুরা করতে পারবে। তবে পুনরায় প্রথম হতে পড়াই উত্তম।

 

১. অযূ ভঙ্গ হওয়া অবস্থায়, নামাযের মধ্যে করা হয়, সেইরূপ কোনো কাজ করতে পারবে না।

২. অযূ করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় পথে কোরআন শরীফের কোনো আয়াত বা সূরা পাঠ করতে পারবে না।

সম্পর্কিত পোষ্ট

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ

নামাজ ও যাকাত এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

নামাজ বা সালাত আদায়ের নিয়ম-Namaj Adayer Niyom


৩. যে সকল কাজ করলে নামায ভঙ্গ হয়ে যায়, তার কোনটি ঢেকে রাখা ফরজ, অযূর সময় তা খুলতে পারবে না।

৪. 'ছতর' খুলতে অর্থাৎ, নামাযের অবস্থায় দেহের যে যে অংশ ঢেকে রাখা ফরজ, অযূর সময় তা খুলতে পারবে না।

৫ অযু ভঙ্গের পর বিনা ওজরে নিজের স্থানে বিলম্ব করবেন না, বরং অবিলম্বে অযূ করতে চলে যাবে।

 

এ সকল শর্তের কোন একটি বরখেলাফ করলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে। তখন আর অবশিষ্ট নামায পড়লে শুদ্ধ হবে না, বরং পুনরায় শুরু থেকে পড়তে হবে।

কোনো ব্যক্তি একাকী নামায পড়ছে, এ অবস্থায় উল্লেখিত কারণে তার অযূ ভঙ্গ হলে তৎক্ষণাৎ তার অযূ করতে যাওয়া এবং যথাশীঘ্র অযূ করে ফিরে আসা উচিত। ঐ সময়ের মধ্যে কোনো রকম কথাবার্তা বলবে না এবং কাছে পাওয়া গেলে দূরে অযূ করতে যাবে না। আর যেখানে অযূ করবে সেইখানেই নামায পড়বার উপযোগী স্থান থাকলে সেখানেই অবশিষ্ট নামায শেষ করবে এটাই উত্তম। আর যদি পূর্বস্থানে নামায যেয়ে পড়তে ইচ্ছে করে তাও করতে পারবে।

যদি ইমামের অযূ নষ্ট হয়ে যায়, তবে তৎক্ষণাৎ মুক্তাদীগণের মধ্যে হতে ইমামের যোগ্য কোনো ব্যক্তিকে খলিফা নিযুক্ত করে নিজে অযূ করতে চলে যাবেন। যদি মসজিদের ভিতরেই পানি পাওয়া যায়, তবে খলিফা নিযুক্ত না করলেও চলবে। ইমামের অযূ করতে যে সময়টুকু লাগবে ততক্ষণ মুক্তাদীগণ ইমামের পিছনে যেরূপ থাকত, অনুরূপ থেকে ইমামের পুনরায় ইমামতিতে যোগদানের অপেক্ষায় থাকবে।

 

ইমাম অপর কাউকে নিজের খলিফা বা স্থলাভিষিক্তরূপে নিযুক্ত করে যাওয়ার সময়ে তাকে অবশিষ্ট নামায আদায করার জন্য ইশারায় বুঝায়ে দিবেন। যেমন, এক রাকায়াতের জন্য এক আঙ্গুল এবং দুই রাকাতের জন্য দুই আঙ্গল দ্বারা ইশারা করবেন। রুকুর জন্য হাঁটুতে, সেজদার জন্য কপালে, কেরাতের জন্য মুখে, সাহু সেজদার জন্য বুকে হাত রেখে ইশারা করবেন। যে ব্যক্তি এ সকল ইশারার তাৎপর্য বুঝে না, তাকে খলিফা নিযুক্ত করবেন না।

ইমাম সাহেব অযূ করে এসে যদি দেখেন যে, জামায়াত তখনো শেষ হয়নি, তা হলে নিজের মনোনীত খলিফার মুক্তাদী হয়ে জামায়াত শেষ হওয়ার পর, অযুর সময়ে যে নামায ছুটে গিয়েছে, তা নিজে মাসবুকের মাসয়ালা অনুযায়ী আদায় করবেন। অযূ হতে ফিরে এসে যদি দেখেন যে, জামায়াত শেষ হয়ে গেয়েছে, তা হলে বাকি রাকাতসমূহ একাকী মাছবুকের ন্যায় পড়বে। (মাছবুক কাকে বলে এবং তার নামায আদায়ের নিয়মাবলি কি, তা জানতে মাসবুক ব্যক্তির নামায আদায়ের নিয়ম পোষ্টটি পড়ুন)

ইমাম কোন ব্যক্তিকে নিজের 'খলিফা' মনোনীত না করে অযূ করতে গেলে যদি মুক্তাদীগণের মধ্যে হতে কোন ব্যক্তি পরিস্থিতি বুঝতে পেরে, ইমামের স্থলে খাড়া হয়ে যায়, তাতেও নামায শুদ্ধ হবে। তবে, ইমাম মসজিদে থাকতেই অথবা ময়দানে নামায পড়বার সময় ইমামতের নামাযের কাতার অতিক্রম করার পূর্বেই করতে হবে। নচেৎ নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে।

মুক্তাদীগণের কারো অযু ভঙ্গ হলে অযূ করতে চলে যাবে। অযূর পর ফিরে এসে জামায়াত পেলে তাতে শামিল হবে। জামায়াত শেষ হয়ে গিয়ে থাকলে অবশিষ্ট নামায নিজে লাহেকের ন্যায় অর্থাৎ, বিনা কেরাতে পড়বে।


আরো পড়তে পারেনঃ

৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

তওবা কবুল হওয়ার শর্ত

সালাতুস তাসবীহ

দোয়া করার নিয়ম

হজের প্রস্তুতি/Hajj 2022

হজ্জের ফরয, ওয়াজিব সুন্নাতসমূহ

হজ্জের গুরুত্ব ও ফযীলত-Hajjer Gurutto o Fajilat

বেসরকারিব্যবস্থাপনায় হজ করতে কত টাকা লাগবে?

এ বছর হজ করতে পারবেন ১০ লাখ

কোন দেশ থেকে কত মানুষ হজে যেতে পারবে

কুরবানীর ইতিহাস, তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল

কোরবানীর ইতিহাস ও ওয়াজিব হওয়ার শর্ত/Qurbani

কুরবানির পশু জবাইয়ের দোয়া ও পদ্ধতি

পশু যবেহ করার সময় বিশেষ লক্ষণীয় ও কর্তব্য

মহানবীকে স্বপ্নে দেখার উপায়-Mohanobi ke sopne dekhar amol

যে সময় দোয়া কবুল হয়-Je Somoy Dua Korle Kobol Hoy

ঈদের নামাজের নিয়ত ও নিয়ম-Eider namajer niyot o niyom

আকিকার গোসত কতদিন খাওয়া যাবে-Akikar Mangso

আকীকা এবং কিছু ভ্রান্ত ধারণা/Akikar Niyom

রোজার কাফ্‌ফারা-র মাসায়েল

রোজার কাযার মাসায়েল

নফল রোজার মাসআলা/Nafal Rojar Masala

ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত

সূরা ফাতিহা/Surah Fatiha

সূরা ফাতিহার শানে নুযূল/ Sura Fatihar Sane Nuzul

সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত/Sura Fatihar Fojilot

কবিরা গুনাহসমূহ/Kobira Gunahasomuh

পাঁচ কালেমা আরবি ও বাংলা অর্থসহ উচ্চারণ/5 Kalema

শিরকের বিবরণ/Shirok

প্রস্রাব-পায়খানা করার নিয়ম/Prosrab-paykhana korar niyom

ঢিলা-কুলুখ ব্যবহারের নিয়ম/hila-kulukh beboharer niyom

মা-বাবা সাথে সন্তানের আচরণ কেমন হবে/Baba-Maa

ঈদের নামাযের ফজীলত ও মাসয়ালা


Popular Posts