Breaking

April 10, 2022

যেসব কারণে রোজা না রাখার অনুমতি আছে

রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। ইমান, নামাজ ও যাকাত এর পরেই রোজার স্থান। আরবীতে রোজাকে সাওম বলা হয়। যার শাব্দিক অর্থ হল বিরত থাকা। শরীয়তের পরিভাষায়, সাওমকে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখার উদ্দেশ্যে খাওয়া, পান, যৌন মিলন এবং রোজা ভঙ্গকারী কাজ থেকে বিরত থাকাকে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

প্রতিটি ভালো কাজের আলাদা আলাদা ফজিলত ও পুরস্কার রয়েছে। যার দ্বারা মহান রাব্বুল আলামিন কৃতকার্যকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। কেননা, রোজার একাধিক সওয়াব ছাড়াও এর ব্যাপারে অতুলনীয় ঘোষণা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের প্রতিটি আমল বৃদ্ধি পায়। একটি নেক আমল (সাওয়াব) ১০ গুণ থেকে (বিশেষ ক্ষেত্রে) ৭০০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'কিন্তু রোজার বিষয়টি ভিন্ন। কারণ রোজা আমার জন্য। তাই আমি নিজেই এর জন্য পুরস্কার প্রদান করব।

আজ আমরা এমন কিছু জিনিস সম্পর্কে জানবো যেসব কারণে রোজা না রাখার অনুমতি আছে-


 যেসব কারণে রোজা না রাখার অনুমতি আছে

 

১) যদি কেউ শরীয়াতসম্মত সফরে থাকে তাহলে তার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি আছে, পরে কাযা করে নিতে হবে। কিন্তু সফরে যদি কষ্ট না হয় তাহলে রোজা রাখাই উত্তম। আর যদি কোন ব্যক্তি রোজা রাখার নিয়ত করার পর সফর শুরু করে তাহলে সে দিনের রোজা ভাঙ্গা জায়েজ নয়, রাখা জরুরী।

২। কোন রোগী ব্যক্তি রোজা রাখলে যদি তার রোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয় অথবা অন্য কোন নতুন রোগ দেখা দেয়ার আশঙ্কা হয় অথবা রোগ মুক্তি বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা হয় তাহলে রোজা ছেড়ে দেয়ার অনুমতি আছে। সুস্থ হওয়ার পর কাযা করে নিতে হবে। তবে অসুস্থ অবস্থায় রোজা ছাড়তে হলে কোন দ্বীনদার পরহেজগার চিকিৎসকের পরামর্শ থাকা শর্ত, কিংবা নিজের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের ভিত্তিতে হতে হবে। শুধু নিজের কাল্পনিক খেয়ালের বশীভূত হয়ে আশংকাবোধ করে রোজা ছাড়া দুরস্ত হবে না। তাহলে কাযা কাফ্‌ফারা উভয়টা ওয়াজিব হবে।

৩। রোগ মুক্তির পর যে দুর্বলতা থাকে তখন রোজা রাখলে যদি পুনরায় রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা হয়, তাহলে তখন রোজা না রাখার অনুমতি আছে, পরে কাযা করে নিতে হবে।

৪। গর্ভবতী বা দুগ্ধদায়িনী স্ত্রীলোক রোজা রাখলে যদি নিজের জীবনের ব্যাপারে বা সন্তানের জীবনের ব্যাপারে আশঙ্কা হয় তাহলে তখন রোজা না রাখার অনুমতি আছে, পরে কাযা করে নিতে হবে।

৫। হায়েয-নেফাস অবস্থায় রোজা ছেড়ে দিতে হবে এবং পবিত্র হওয়ার পর কাযা করে নিতে হবে।

ইসলামে রোজার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। আলোর পথের যাত্রীরা আসুন আমরা সবাই রোজার হক যথা যথ ভাবে আদায় করি, যেন কাল আশরের ময়দানে রোজা আমাদের বিপক্ষে স্বাক্ষী না দেয় বরং আমাদের নাজাতের উসিলা হয়ে দাঁড়ায়।

আরো পড়তে পারেনঃ

রোজার গুরুত্ব

রোজা ভঙ্গের কারণসমুহ

রোজার মাকরুহসমূহ

রোজার কাফ্‌ফারা-র মাসায়েল

রোজার কাযার মাসায়েল

নফল রোজার মাসআলা/Nafal Rojar Masala

এতেকাফ-Etekaf-ইতেকাফ

এতেকাফ এর মাসাআলা/Etekaf er Masala/এতেকাফের শর্তসমূহ

যেসব কারণে এতেকাফ ফাসেদ তথা নষ্ট হয়ে যায় এবং কাযা করতে হয়

শবে কদর, এ'তেকাফ ও ফিতরা মাসআলা

শাওয়ালের ছয় রোজা

হজ্জের গুরুত্ব ও ফযীলত-Hajjer Gurutto o Fajilat

ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য-EdulFitorer Tatporjo

সদকায়ে ফিতর/ফিতরা এর মাসায়েল/sadkaye fittor/fitara er masayel

নামাজ ও যাকাত এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

কুরবানীর ইতিহাস, তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল

লাইলাতুল কদরের ফজিলত

৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত

নামাযের প্রয়োজনীয়দোয়াসমূহ

মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয

মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছদ

নামাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং নামাজ সম্পর্কে ঘটনা পর্ব ১

নামাজের প্রকারভেদ/ Foroj-Wajib-Sunnat-Nofol Namaj

ইসলামে মেহমানদারির গুরুত্ব ও বিধান/Mehomandari

ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার পর্ব ১

Popular Posts