Breaking

April 13, 2022

যেসব কারণে এতেকাফ ফাসেদ তথা নষ্ট হয়ে যায় এবং কাযা করতে হয়

সাধারণত পুরুষদেরকে মসজিদে ইতিকাফ করতে হয়, মহিলারা নির্দিষ্ট কক্ষে বা নির্ধারিত কক্ষে ইতিকাফ করবেন। প্রাকৃতিক প্রয়োজন এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সেই ঘর বা ঘর ছেড়ে যাবেন না। ওযুর জন্য বের হওয়ার সময় কারো সাথে কথা বলবেন না বা সালাম দিবেন না। যদি কেউ তোমাকে সালাম দেয়, তাকে উত্তর দিও না। তবে প্রয়োজনে ওই ঘরের ভেতর থেকে বাইরে থেকে কাউকে ডাকতে পারেন এবং কেউ ভেতরে আসলে তার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। যে কেউ ইতিকাফ করছে না সে ইতিকাফ ঘরে থাকতে পারবে। ইতিকাফ কক্ষটি যদি বেডরুম হয় এবং অন্য কেউ একই ঘরে বা একই বিছানায় থাকে তবে তাতে কোন ক্ষতি নেই, এমনকি স্বামীর কাছে থাকতে পারে, তবে ইতিকাফ অবস্থায় দাম্পত্য আচরণ নিষিদ্ধ, এর দ্বারা ইতিকাফ ভাঙ্গা হবে। ইতিকাফের সময় ইবাদতে ব্যস্ত থাকবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ো না, যখন তোমরা ইতিকাফরত থাকবে মসজিদে (বা নির্দিষ্ট স্থানে)। (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৭)।


যেসব কারণে এতেকাফ ফাসেদ তথা নষ্ট হয়ে যায় এবং কাযা করতে হয়

 

       ## স্ত্রী সহবাস করলে এ’তেকাফ ফাসেদ হয়ে যায়, চাই বীর্যপাত হোক বা না হোক, ইচ্ছাকৃত হোক বা ভুলে। সহবাসের আনুষঙ্গিক কাজ যেমন চুম্বন, আলিঙ্গন ইত্যাদির কারণে বীর্যপাত হলে এ’তেকাফ ফাসেদ হয়ে যায়। চুম্বন ইত্যাদির কারণে বীর্যপাত না হলে এ’তেকাফ বাতিল হয় না, তবে এ’তেকাফের অবস্থায় তা করা হারাম।

       ## এ’তেকাফের স্থান থেকে শরীয়াতসম্মত প্রয়োজন বা স্বাভাবিক প্রয়োজন ছাড়া বের হলে এ’তেকাফ ফাসেদ হয়ে যায়। শরীয়াতসম্মত প্রয়োজন হলে মসজিদের বাইরে যাওয়া যায়, যেমন-

**সে মসজিদে জুমুআর জামাআত না হলে জুমুআর নামাযের জন্য জামে মসজিদে যাওয়া,

**ফরজ বা সুন্নাত গোসলের জন্য বের হওয়া ইত্যাদি।

আর স্বাভাবিক প্রয়োজনেও বের হওয়া যায়, যেমন-

**পেসাব-পায়খানার জন্য,

**খাদ্য-খাবার এনে দেয়ার লোক না থাকলে তা আনার জন্য,

**মসজিদের ভিতর উযুর পানির ব্যবস্থা না থাকলে এবং পানি দেয়ার কেউ না থাকলে উযুর পানির জন্য বাইরে যাওয়া।

## যে কাজের জন্য বাইরে যাওয়া হবে সে কাজ সমাপ্ত করার পর সত্বর ফিরে আসবে, বিনা প্রয়োজনে কারও সঙ্গে কথা বলবে না।

## গোসল ফরয হওয়া ছাড়াও আমরা শরীর ঠাণ্ডা কারার নিয়তে বা শরীর পরিষ্কার করার নিয়তে সাধারণত যে গোসল করে থাকি, শুধু এরূপ গোসলেরই উদ্দেশ্যে মসজিদ থেকে বের হওয়া যাবে না। তবে কাউকে বলে যদি পথের পানির ব্যবস্থা করে রাখে বা পুকুর ইত্যাদি থাকে আর পেশাব পায়খানা থেকে ফেরার পথে অতিরিক্ত সময় না লাগিয়ে জলদি ঐ পানি গায়ে মাথায় ঢেলে বা ডুব দিয়ে গোসল সেরে চলে আসে, তাহলে এ’তেকাফের ক্ষতি হবে না।


আরো পড়তে পারেনঃ

রোজার গুরুত্ব

রোজা ভঙ্গের কারণসমুহ

রোজার মাকরুহসমূহ

রোজার কাফ্‌ফারা-র মাসায়েল

রোজার কাযার মাসায়েল

নফল রোজার মাসআলা/Nafal Rojar Masala

এতেকাফ-Etekaf-ইতেকাফ

এতেকাফ এর মাসাআলা/Etekaf er Masala/এতেকাফের শর্তসমূহ

যেসব কারণে এতেকাফ ফাসেদ তথা নষ্ট হয়ে যায় এবং কাযা করতে হয়

শবে কদর, এ'তেকাফ ও ফিতরা মাসআলা

শাওয়ালের ছয় রোজা

হজ্জের গুরুত্ব ও ফযীলত-Hajjer Gurutto o Fajilat

ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য-EdulFitorer Tatporjo

সদকায়ে ফিতর/ফিতরা এর মাসায়েল/sadkaye fittor/fitara er masayel

নামাজ ও যাকাত এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

কুরবানীর ইতিহাস, তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল

লাইলাতুল কদরের ফজিলত

৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত

নামাযের প্রয়োজনীয়দোয়াসমূহ

মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয

মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছদ

নামাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং নামাজ সম্পর্কে ঘটনা পর্ব ১

নামাজের প্রকারভেদ/ Foroj-Wajib-Sunnat-Nofol Namaj

ইসলামে মেহমানদারির গুরুত্ব ও বিধান/Mehomandari

ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার পর্ব ১

Popular Posts