হযরত সাহল বিন সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, জান্নাতের একটা দরজা আছে একে রাইয়ান বলা হয়। এই দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন একমাত্র সিয়াম পালনকারী ব্যক্তিই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের ছেড়া অন্য কেউ এই পথে প্রবেশ করবে না। সেদিন এই বলে আহ্বান করা হবে- সিয়াম পালনকারীগণ কোথায়? তারা যেন এই পথে প্রবেশ করে। এই ভাবে সকল সিয়াম পালনকারী ভেতরে প্রবেশ করার পর দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। অতঃপর এ পথে আর কেউ প্রবেশ করবে না।” (সহীহ বুখারী, হাঃ ১৮৯৬)
ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের মধ্যে যাকাতের পরই রোজার স্থান। ইবাদতসমূহের
মধ্যে রোজার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে রোজা দ্বারা দুঃখী ও নিরন্নদের ক্ষুদার কষ্ট
অনুভবের সু্যোগ হয় এবং তা দ্বারা গরীবের প্রতি করুণা এবং দয়া-মমতা সৃষ্টি হয়ে
দানশীলতা ও পরোপকার করার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তাছাড়া রোজা দ্বারা মানুষের সংযম,
ধৈর্য, গুণ এবং স্বাস্থ্যগত উপকার সাধিত হয়। রোজা দ্বারা মানুষ কর্মী, সক্রিয়,
সহনশীল, কষ্টসহিষ্ণু, নিয়মানুবর্তিতা এবং পরিশ্রমী হতে সুযোগ লাভ করে। রোজার
গুরুত্ব আরোপ করে মহান আল্লাহ পাক বলেন, "তোমাদের মধ্যে যে কেউ রমজান মাস
পাবে, সে যেন রোজা রাখে।"
রমজান মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ কুরআন পাকে
এরশাদ করেন- "রমজান এমন একটি মহান মাস যাতে মানুষের হেদায়েত এবং হেদায়েত
বিষয়ক প্রকাশ্য শিক্ষাপূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে যা সত্যকে মিথ্যা এবং খাটিকে
ভেজাল হতে পার্থক্যকারী।"
প্রতিটি ভালো কাজের আলাদা আলাদা ফজিলত ও পুরস্কার রয়েছে। যার দ্বারা মহান রাব্বুল আলামিন কৃতকার্যকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোজার ব্যাপারটা একেবারেই আলাদা। কেননা, রোজার একাধিক সওয়াব ছাড়াও এর ব্যাপারে অতুলনীয় ঘোষণা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের প্রতিটি আমল বৃদ্ধি পায়। একটি নেক আমল (সাওয়াব) ১০ গুণ থেকে (বিশেষ ক্ষেত্রে) ৭০০ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'কিন্তু রোজার বিষয়টি ভিন্ন। কারণ রোজা আমার জন্য। তাই আমি নিজেই এর জন্য পুরস্কার প্রদান করব।
রোজার কাযার মাসায়েল
· রমজানের রোজা কাযা হয়ে গেলে রমজানের পর যথাশীঘ্র কাযা করে নিতে হবে।
বিনা কারণে কাযা রোজা রাখতে দেরি করা গোনাহ।
· কাযা রোজার জন্যে সুব্হে সাদিকের পূর্বেই নিয়ত করতে হবে, অন্যথায়
কাযা রোজা সহীহ হবে না। সুব্হে সাদিকের পর নিয়ত করলে সে রোজা নফল হয়ে যাবে।
· ঘটনাক্রমে একাধিক রমজানের কাযা রোজা একত্র হয়ে গেলে নির্দিষ্ট
করে নিয়ত করতে হবে যে, আজ অমুক বৎসরের রমজানের রোজা আদয় করছি।
· যে কয়টি রোজা কাযা হয়েছে তা একাধারে রাখা মোস্তাহাব। বিভিন্ন সময়ে
রাখাও দুরস্ত আছে।
· কাযা শেষ করা পূর্বেই নতুন রমজান এসে গেলে তখন ঐ রমজানের রোজাই রাখতে
হবে। কাযা পরে আদায় করে নিতে হবে।
নফল রোজার মাসআলা/Nafal Rojar Masala
এতেকাফ এর মাসাআলা/Etekaf er Masala/এতেকাফের শর্তসমূহ
যেসব কারণে এতেকাফ ফাসেদ তথা নষ্ট হয়ে যায় এবং কাযা করতে হয়
শবে কদর, এ'তেকাফ ও ফিতরা মাসআলা
হজ্জের গুরুত্ব ও ফযীলত-Hajjer Gurutto o Fajilat
ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য-EdulFitorer Tatporjo
সদকায়ে ফিতর/ফিতরা এর মাসায়েল/sadkaye fittor/fitara er masayel
নামাজ ও যাকাত এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
কুরবানীর ইতিহাস, তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল
লাইলাতুল কদরের ফজিলত
৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়
তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়
ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব
ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত
নামাযের প্রয়োজনীয়দোয়াসমূহ
মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয
নামাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং নামাজ সম্পর্কে ঘটনা পর্ব ১
নামাজের প্রকারভেদ/ Foroj-Wajib-Sunnat-Nofol Namaj