Breaking

July 18, 2022

নামাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং নামাজ সম্পর্কে ঘটনা পর্ব ১


রাসূলুল্লাহ (স) বলেন

 

الصلوات الخمس والجمعة إلى الجمعة ورمضان إلى رمضان مكفرات لما بينهن إذا اجتنبت الكبائر

অর্থঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুমু'আ হতে অন্য জুমু'আ এবং এক রমযান থেকে অন্য রমযান সে সব গুনাহ মোচনকারী, যে সব গুনাহ মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে থাকে। যদি কবীরা গুনাহ সমূহ থেকে বেঁচে থাকা হয়। -(মেশকাত, পৃঃ ৫৭)

প্রকৃতপক্ষে নামাযের মধ্যে বিনয় ও একাগ্রতা রক্ষা করা এবং আল্লাহর দিকে নিজের দৃষ্টিকে নিবন্ধ রেখে একাগ্রচিত্তে মনোযোগী হওয়াই নামাযের প্রাণ বা মূল-রূহ। আল্লাহর যে সব বান্দা এভাবে নামায আদায়ের জন্য সচেষ্ট থাকেন তাঁদের সফলতা অর্জন অবশ্যম্ভাবী।

 

সম্পর্কিত পোষ্ট

নামাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং নামাজ সম্পর্কে ঘটনা পর্ব ২ 

 

পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে

 

قد افلح المؤمنون الذين هم في صلاتهم خاشعون -

উচ্চারণঃ ক্বাদ আফলাহাল মু'মিনূন। আল্লাযীনা হুম ফী সলাতিহিম খা-শিউ'ন।

অর্থঃ নিশ্চয়ই সফলকাম হয়েছে মু'মিনগণ, যারা নিজেদের নামাযে বিনয় ও নম্র। (সূরা মু'মিনূন, আয়াতঃ ১-২)

 

আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেনঃ

 

واستعينوا بالصبر والصلاة واتهالكبيرة الاعلى الخاشعين

উচ্চারণঃ ওয়াসতা'ঈনূ বিসবরি ওয়াস সলা-হ্। ওয়া ইন্না হালাকাবীরাতুন ইল্লা- 'আলাল খা-শি'ঈন।

অর্থঃ তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য কামনা কর এবং তা বিনীতরা ব্যতীত আর সকলের নিকট নিশ্চিতভাবে কঠিন। -(সূরা বাকারা, আয়াতঃ ৪৫)

 

খুশু-খুযূ সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ (স) বলেন “যদি কেউ ওয়াক্ত মত নামায আদায় করে, নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে পরিপূর্ণভাবে ওযূ করে এবং কিয়াম, রুকূ ও সিজদা ইত্যাদি বিনয় ও একাগ্রতার সাথে আদায় করে, তবে তার এ নামায দীপ্তিময় উজ্জ্বল হয়ে উঠে এবং নামাযীর জন্য দোয়া করতে থাকে।”

 

আরো পড়ুনঃ

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ

নামাজ বা সালাত আদায়ের নিয়ম-Namaj Adayer Niyom

নামাযের গুরুত্বপূর্ণ মাসালা/Namajer Gurottpourno Masala

কাযা নামায পড়ার নিয়ম/Kaja Namaz Porar Niyom

 

হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামায, তোমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর ন্যায়। তোমরা যদি প্রত্যেহ পাঁচ বার নদীতে গোসল কর, তবে যেমন তোমাদের শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে না, তেমনি যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচ বার নামায পড়বে, কোন প্রকার পাপ তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।

তিনি আরো বলেছেন কোনো ব্যক্তি নিয়মিতভাবে ওযূ করে ভয় মিশ্রিত শ্রদ্ধার সাথে নামায পড়লে, তার জন্য আল্লাহ তায়ালা দোযখের আগুন হারাম করে দিবেন। কিয়ামতের দিন নামাযই তাকে দোযখ থেকে রক্ষা করবে (হাদীস)।

তিনি অন্য এক হাদীসে ইরশাদ করেন, নামায পড়ার সময় মাটিতে সেজদা করায় তোমাদের কপালে যদি ধুলো-মাটি লেগে যায়, তবে তা মুছে ফেলো না। কেননা, ঐ ধুলা-মাটি যতক্ষণ কপালে থাকবে, ততক্ষণ তোমাদের ওপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হতে থাকবে। (হাদিস)।

 

আরো পড়ুনঃ

নামাজ ছেড়ে দেয়ার পরিণতি/নামাজ না পড়ার শাস্তি

প্রথম কাতারে নামায পড়ার ফযীলত/Protom Katare Namaz Porar Fojiot

সাহু সিজদাহ করার নিয়ম/Sahu Sijdah Korar Niyom

নামায অবস্থায় অযূ ভঙ্গ হলে করণীয়

 

হাদীসে আরো বর্ণিত আছে, হযরত আদম (আ.)-এর ওপর ফজরের নামায, হযরত দাউদ (আ.)-এর ওপর জোহরের নামায, হযরত সোলায়মান (আ.)-এর ওপর আছরের নামায, হযরত ইয়াকুব (আ.)-এর ওপর মাগরিবের নামায এবং হযরত ইউনুস (আঃ)-এর ওপর এশার নামায ফরয ছিল। যে ব্যক্তি এই পাঁচ ওয়াক্তের নামায ভক্তি-শ্রদ্ধার সাথে আদায় করবে, সে পাঁচ জন পয়গম্বরের সমতুল্য সাওয়াব লাভ করবে।

 

হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাঃ) বলেছেন, এক সময় হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সাথে কথাবার্তা বলছিলেন। এমন সময় নামাযের আযান হলে তিনি তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়ান, তাঁর চেহারার রং পরিবর্তিত হয়ে যায়। তাঁর অবস্থা দেখে আমার মনে হচ্ছিল, তিনি আমাকে চিনতে পারছেন না। আমি হুজুরকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, হে আয়েশা (রাঃ)! এখন আল্লাহ তায়ালা আদেশ প্রতিপালনের সময়, এ সময় প্রত্যেকের ভয় হওয়া আবশ্যক।

 

হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন কোনো বান্দা ওযূ করে জায়নামাযে দাঁড়ায়, তখন আল্লাহ তায়ালা একজন ফেরেশতাকে এ বলে পাঠিয়ে দেন যে, আমার অমুক বান্দা নামায পড়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। কিন্তু তাঁর শরীরে পূর্বের পাপরাশি সঞ্চিত আছে। সে নাপাক বস্তু সাথে নিয়ে নামায পড়লে তা শুদ্ধ হবে না। অতএব, তার শরীর থেকে পাপরাশি উঠিয়ে তুমি মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে থাক, আর আমার বান্দা নিষ্পাপ অবস্থায় নামায আদায় করুক। আল্লাহ তায়ালার আদেশক্রমে উক্ত ফেরেশতা নামাযীর সমস্ত পাপ উঠিয়ে নিজে বহন করত। অতঃপর নামায পড়া শেষ হলে ফেরেশতা বলেন যে, হে আল্লাহ তায়ালা! আপনার বান্দার নামায পড়া শেষ হয়েছে, তার পাপরাশি এখন তারই শরীরে ছেড়ে দেব। তদুত্তরে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার নাম 'রাহমানুর রাহীম'। আমি বান্দার শরীর থেকে পাপের বোঝা নামিয়ে যদি পুনরায় সেই বোঝা চাপিয়ে দেই তবে আর আমার ঐ নামের কি সার্থকতা থাকল। অতএব, হে ফেরেশতা! আমার বান্দার পাপের বোঝা (জাহান্নাম) দোজখে নিক্ষেপ করে ভস্ম করে দাও। এখন থেকে এ বান্দা সম্পূর্ণ নিষ্পাপ। সুবহানাল্লাহ! নামাযের কি অফুরন্ত ফযীলত।

 

আরো পড়তে পারেনঃ

৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

তওবা কবুল হওয়ার শর্ত/Taoba Kobul Hoyar Sorto

সালাতুস তাসবীহ

দোয়া করার নিয়ম

মহানবীকে স্বপ্নে দেখার উপায়-Mohanobi ke sopne dekhar amol

যে সময় দোয়া কবুল হয়-Je Somoy Dua Korle Kobol Hoy

আকিকার গোসত কতদিন খাওয়া যাবে-Akikar Mangso

আকীকা এবং কিছু ভ্রান্ত ধারণা/Akikar Niyom

তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত

সূরা ফাতিহা/Surah Fatiha

সূরা ফাতিহার শানে নুযূল/ Sura Fatihar Sane Nuzul

সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত/Sura Fatihar Fojilot

কবিরা গুনাহসমূহ/Kobira Gunahasomuh

পাঁচ কালেমা আরবি ও বাংলা অর্থসহ উচ্চারণ/5 Kalema

শিরকের বিবরণ/Shirok

প্রস্রাব-পায়খানা করার নিয়ম/Prosrab-paykhana korar niyom

ঢিলা-কুলুখ ব্যবহারের নিয়ম/hila-kulukh beboharer niyom

মা-বাবা সাথে সন্তানের আচরণ কেমন হবে/Baba-Maa

জুমার নামাজ/JumarNamaz

জুমুয়ার নামায পড়ার নিয়ত/Jumuwar namaz poar niyot

জুমার গুরুত্ব ও ফজিলত/Jumar Gorotto o Fojilot

ইসলামে নারীর পর্দার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয

মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছদ

Popular Posts