Breaking

April 11, 2022

রোজার কাফফারার মাসায়েল/Masael of Rosa Kaffara

রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। ইমান, নামাজ ও যাকাত এর পরেই রোজার স্থান। আরবীতে রোজাকে সাওম বলা হয়। যার শাব্দিক অর্থ হল বিরত থাকা। শরীয়তের পরিভাষায়, সাওমকে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখার উদ্দেশ্যে খাওয়া, পান, যৌন মিলন এবং রোজা ভঙ্গকারী কাজ থেকে বিরত থাকাকে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

রমজান মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ কুরআন পাকে এরশাদ করেন- "রমজান এমন একটি মহান মাস যাতে মানুষের হেদায়েত এবং হেদায়েত বিষয়ক প্রকাশ্য শিক্ষাপূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে যা সত্যকে মিথ্যা এবং খাটিকে ভেজাল হতে পার্থক্যকারী।"

হযরত সাহল বিন সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন “রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, জান্নাতের একটা দরজা আছে একে রাইয়ান বলা হয়। এই দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন একমাত্র সিয়াম পালনকারী ব্যক্তিই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের ছেড়া অন্য কেউ এই পথে প্রবেশ করবে না। সেদিন এই বলে আহ্বান করা হবে- সিয়াম পালনকারীগণ কোথায়? তারা যেন এই পথে প্রবেশ করে। এই ভাবে সকল সিয়াম পালনকারী ভেতরে প্রবেশ করার পর দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। অতঃপর এ পথে আর কেউ প্রবেশ করবে না।” (সহীহ বুখারী, হাঃ ১৮৯৬)

আজ আমরা রোজার কাফফারার মাসায়েল সম্পর্কে জানবো-


 রোজার কাফ্‌ফারা-র মাসায়েল

 

>>একটি রোজার কাফ্‌ফারা ৬০টি রোজা (একটি কাযা বাদেও)। এই ৬০টি রোজা একাধারে রাখতে হবে। মাঝখানে ছুটে গেলে আবার পুনরায় পূর্ণ ৬০টি একাধারে রাখতে হবে। এই ৬০ দিনের মধ্যে নেফাস বা রমজানের মাস এসে যাওয়ার কারণে বিরতি হলেও কাফ্‌ফারা আদায় হবে না।

>>কাফ্‌ফারার রোজা এমন দিন থেকে শুরু করতে হবে যেন মাঝখানে কোন নিষিদ্ধ দিন এসে না যায়। উল্লেখ্য বৎসরে ৫দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ বা হারাম। সেই ৫দিন হলো-

১। ঈদুল ফিতরের দিন

২। ঈদুল আযাহার দিন।

৩। ঈদুল আযাহার দিনের পরের ৩দিন।

>>কাফ্‌ফারার রোজা রাখার মধ্যে হায়েযের দিন (নেফাসের নয়) এসে গেলেও যে কয়দিন সে হায়েযের কারণে বিরতি যাবে তাতে অসুবিধা নেই।

>>কাযা রোজার ন্যায় কাফ্‌ফারার রোজার নিয়তও সুব্‌হে সাদিকের পূর্বে হওয়া জরুরী।

>>একই রমজানের একাধিক রোজা ছুটে গেলে কাফ্‌ফারা একটাই ওয়াজিব হবে। দুই রমজানের ছুটে গেলে দুই কাফ্‌ফারা ওয়াজিব হবে।

>>কাফ্‌ফারা বাবত বিরতিহীনভাবে ৬০দিন রোজা রাখার সামর্থ না থাকলে পূর্ণ খোরাক খেতে পারে এমন ৬০ জন মিসকীনকে (অথবা এক জনকে ৬০ দিন) দু’বেলা পরিতৃপ্তির সাথে খাওয়াতে হবে অথবা সদকায়ে ফিত্‌র-য়ে যে পরিমাণ গম বা তার মূল্য দেয়া হয় প্রত্যেককে সে পরিমাণ দিতে হবে। এই গম ইত্যাদি বা মূল্য দেয়ার ক্ষেত্রে একজনকে ৬০ দিনেরটা এক দিনে দিয়ে দিলে কাফ্‌ফারা আদায় হবে না। তাতে মাত্র ১দিনের কাফ্‌ফারা ধরা হবে।

>>৬০দিন খাওয়ানোর বা মূল্য দেয়ার মাঝে ২/১ দিন বিরতি গেলে ক্ষতি নেই।


ইসলামে রোজার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। আলোর পথের যাত্রীরা আসুন আমরা সবাই রোজার হক যথা যথ ভাবে আদায় করি, যেন কাল আশরের ময়দানে রোজা আমাদের বিপক্ষে স্বাক্ষী না দেয় বরং আমাদের নাজাতের উসিলা হয়ে দাঁড়ায়।

আরো পড়তে পারেনঃ

রোজার গুরুত্ব

রোজা ভঙ্গের কারণসমুহ

রোজার মাকরুহসমূহ

রোজার কাফ্‌ফারা-র মাসায়েল

রোজার কাযার মাসায়েল

নফল রোজার মাসআলা/Nafal Rojar Masala

এতেকাফ-Etekaf-ইতেকাফ

এতেকাফ এর মাসাআলা/Etekaf er Masala/এতেকাফের শর্তসমূহ

যেসব কারণে এতেকাফ ফাসেদ তথা নষ্ট হয়ে যায় এবং কাযা করতে হয়

শবে কদর, এ'তেকাফ ও ফিতরা মাসআলা

শাওয়ালের ছয় রোজা

হজ্জের গুরুত্ব ও ফযীলত-Hajjer Gurutto o Fajilat

ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য-EdulFitorer Tatporjo

সদকায়ে ফিতর/ফিতরা এর মাসায়েল/sadkaye fittor/fitara er masayel

নামাজ ও যাকাত এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

কুরবানীর ইতিহাস, তত্ত্ব, ফাযায়েল ও মাসায়েল

লাইলাতুল কদরের ফজিলত

৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত

নামাযের প্রয়োজনীয়দোয়াসমূহ

মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয

মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছদ

নামাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং নামাজ সম্পর্কে ঘটনা পর্ব ১

নামাজের প্রকারভেদ/ Foroj-Wajib-Sunnat-Nofol Namaj

ইসলামে মেহমানদারির গুরুত্ব ও বিধান/Mehomandari

ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার পর্ব ১

Popular Posts