আমরা পুরুষরা বিভিন্ন দুনিয়াবি কাজে জড়িত হতে পারি যা মহিলারা পারে না বা ইসলামিক বিদ্বান অনুযায়ী জায়েজ নয়। যার ফলে পুরুষের জ্ঞান মহিলাদের চেয়ে বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক বিষয় আল্লাহ এই ভাবেই আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
হায়েয বা মাসিক প্রতিটা
মহিলার একটা স্বাভাবিক ঘটনা। মাসের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এটা হয়ে থাকে। যা হযরত হাওয়া
(আ.) থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
তাই আমরা কোরআনের আলো
ব্লগের পক্ষ থেকে একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এখন থেকে প্রতি মঙ্গলবার মহিলাদের দৈনন্দিন
জীবনে জরুরি মাসায়েল সম্পর্কিত পোষ্ট করা হবে ইন-শা-আল্লাহ, আল্লাহু-তায়ালা। এইসব পোষ্টের
মাধ্যমে বালিকা থেকে মহিলা প্রায় সবার মাসায়েল বা সমস্যা গুলো ধারাবাহিক ভাবে তুলে
ধরার চেষ্টা করা হবে। এই পোষ্ট গুলো “মহিলাদের জরুরি মাসায়েল” নামে ব্লগের ম্যানুবারে পেয়ে
যাবেন।
প্রশ্ন: গর্ভাশয় থেকে
নির্গত রক্ত কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর: মহিলাদের
লজ্জাস্থান থেকে যে রক্ত নির্গত হয়, তা তিন প্রকারঃ
১. হায়েয, ২. নেফাস, ৩.
ইস্তেহাযা।
হায়েয এর পরিচয়
হায়েয এর শাব্দিক অর্থ
হলো- বহির্গমনকারী রক্ত। শরিয়ত বিশেষজ্ঞদের পরিভাষায় হায়েয বলা হয়, রোগ মুক্ত বা
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া ব্যতীত একজন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্কা মেয়ের বাচ্চাদানী বা
গভার্শয় থেকে যে রক্ত নির্গত হয় তাকে হায়েয বা রক্তস্রাব বলে ।
সম্পর্কিত
পোষ্ট
ইসলামে নারীর
পর্দার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া
জায়েয
হায়েয এর ঐতিহাসিক
বর্ণনা
হায়েয এর সূচনা ও
সমাপ্তির বিবরণ
নয় বছরের পূর্বে এবং
পঞ্চান্ন বছরের পরে সাধারণত কোনো মহিলার ঋতুস্রাব হয় না। সুতরাং যদি নয় বছরের
পূর্বে কোনো মেয়ের স্রাব দেখা দেয়, তাহলে তা হায়েয নয়, বরং তা ইস্তেহাযা বলে গণ্য
হবে। তদ্রূপ যদি পঞ্চান্ন বছরের পর কোনো মহিলার হলুদ, সবুজ কিংবা মেটে রঙের স্রাব
হয়, তখনও তা ইস্তেহাযা বলে গণ্য হবে। অবশ্য যদি পঞ্চান্ন বছর বয়সের পূর্ব হতে কোনো
মহিলা যদি হলুদ, সবুজ কিংবা মেটে রঙের স্রাবে অভ্যস্ত হয়ে থাকে, তাহলে এ স্রাবকেও
হায়েয বলে ধরা হবে। এমনিভাবে যদি পঞ্চান্ন বছরের পর কোনো মহিলার গাঢ় লাল বা ঘন
কালো রক্ত নির্গত হয়, তখনও তা হায়েয বলে গণ্য হবে।
আরো
পড়ুনঃ
নামাজ অবস্থায় অযূ ভঙ্গ হলে
করণীয়
হায়েয এর রং কয়
ধরনের?
হায়েয এর রং ছয় ধরনেরঃ
১. লাল, ২. সবুজ, ৩. মেটে, ৪. হলুদ, ৫. খয়েরি এবং ৬. কালো।
ঋতুবতী নারী কত প্রকার
এবং তাদের পরিচয় কী?
১. মুবতাদাআহঃ যে মেয়ের প্রথমবারের মতো হায়েয
আসা শুরু হলো।
২. মু'তাদাহঃ প্রতিমাসে অথবা অভ্যাস অনুযায়ী যে মেয়ের ঋতুস্রাব হয় এবং এতে কোনো প্রকার জটিলতাও সৃষ্টি হয় না। অর্থাৎ যার হায়েয ও নেফাসের দিন নির্দিষ্ট আর তাতে সে অভ্যস্ত।
মু'তাদাহ নারী আবার
দুই প্রকার
ক. মুত্তাফাকাহঃ যে নারীর হায়েয আসার দিন-তারিখ
সবসময় একরকম।
খ. মুখতালিফাহঃ যে নারীর হায়েয আসার দিন-তারিখ সবসময় একরকম নয়, বরং কখনো তিনদিন, কখনো ছয় দিন, আবার কখনো নয় দিন ইত্যাদি।
হায়েযের নেফাসের
হুকুম
মাসিক চলাকালীন যেসব কাজ
করা নাজায়েয তথা হারাম সেগুলো হলোঃ
১. নামায পড়া।
২. রোযা রাখা।
৩. কুরআনে কারিম তিলাওয়াত
করা।
৪. কুরআন শরিফ স্পর্শ
করা।
৫. মসজিদে গমন করা।
৬. তাওয়াফ করা।
৭. সহবাস করা।
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর কাযা নামায আর পড়তে হবে না। কেননা, কাযা হওয়া নামাযসমূহ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তবে রমজানের রোজাসমূহ অন্য যেকোনো সময় পবিত্র অবস্থায় কাযা করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
শিক্ষা
১. মহিলাদের উচিত,
প্রতিটি বিষয়ে তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করা, স্বামীর সাথে পরামর্শ করা এবং স্বামীর
বিরোধিতা না করা।
৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া
কবুল হয়
ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার পর্ব ১
ইসলামে মেহমানদারির
গুরুত্ব ও বিধান
ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব
সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত
যৌবনকাল ইসলামে ইবাদতের
শ্রেষ্ঠ সময়
চল্লিশ দিন জামাতে
নামাজ পড়ার ফজিলত #তাকবীরউলা
হস্তমৈথুন এবং এটা থেকে বাঁচার উপায়
দামি আতর কেনা কি
অপচয় হিসেবে বিবেচিত হবে?
দুই মসজিদ কাছাকাছি, কোন মসজিদে নামাজ পড়বেন?