Breaking

October 5, 2022

নারীদের গোপন মাসায়েল ও আলোচনা পর্ব ১

 আমরা পুরুষরা বিভিন্ন দুনিয়াবি কাজে জড়িত হতে পারি যা মহিলারা পারে না বা ইসলামিক বিদ্বান অনুযায়ী জায়েজ নয়। যার ফলে পুরুষের জ্ঞান মহিলাদের চেয়ে বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক বিষয় আল্লাহ এই ভাবেই আমাদের সৃষ্টি করেছেন।

নারীদের গোপন মাসায়েল ও আলোচনা পর্ব ১,মাসিক বা হায়েয সংক্রান্ত মাসায়েল ও আলোচনা পর্ব ১,হায়েয সংক্রান্ত মাসায়েল,হায়েয সংক্রান্ত আলোচনা,মাসিক সংক্রান্ত মাসায়েল,মাসিক সংক্রান্ত আলোচনা,মাসিক বা হায়েয,হায়েজ অবস্থায় আমল,মাসিক,মাসিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা,মাসিক আদর্শ নারী,পবিত্রতা অর্জন সম্পর্কিত বিবিধ মাসায়েল,হায়েজ অবস্থায় কি কি করা যাবে না,মাসলা মাসায়েল,নারীদের প্রয়োজনীয় মাসায়েল,যৌন শিক্ষা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা,হায়েজ ও নেফাসের সময়সীমা,ইসলামিক আলোচনা,কুরবানীর জরুরী মাসায়েল,হায়েজ কত দিন থাকে,মাসিকের সময় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে?,নারীদের (মাসিক পিরিওড বা হায়েয থেকে) পবিত্রতার মাসয়ালা,নারীদের গোপন মাসায়েল,কতদিন রক্ত গেলে মাসিক বলে ধরা হয়,রমজান মাসে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা,মাসিক হলে রোজা রাখা যায় কি না,মাসিকের পরে রক্ত স্রাব হলে নামাজ পড়া যাবে কিনা,মাসিক নিয়ে প্রশ্ন উত্তর,মাসিকের ব্যথা কমানোর উপায়,মাসিক সম্পর্কে সকল প্রশ্নের উত্তর,রমজানে মাসিক হলে,হায়েজ ও নিফাস নিয়ে আলোচনা,ফর ও কসর সংক্রান্ত জরুরী মাসায়েল,সফর ও কসর সংক্রান্ত জরুরী মাসায়েল,হায়েজ ও নেফাসের সম্পর্কে কিছু আলোচনা,রমযানে সফর সংক্রান্ত মাসআলা,সফর সংক্রান্ত মুসাফিরের জন্য মাসআলা,রমযানে সফর সংক্রান্ত মুসাফিরের জন্য মাসআলা,হায়েস ও নিফাস,যে কারনে রমযানে সফর সংক্রান্ত মুসাফিরের জন্য মাসআলা,বাংলা হায়েজ ও নিফাস,মাসিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা,হায়েজ,হায়েজা ও ইস্তিহাজা মহিলার নামায ও রোযার হুকুম কি?


হায়েয বা মাসিক প্রতিটা মহিলার একটা স্বাভাবিক ঘটনা। মাসের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এটা হয়ে থাকে। যা হযরত হাওয়া (আ.) থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

কিন্তু এই হায়েয বা মাসিক নিয়ে প্রায় সব মহিলার মনেই কিছু না কিছু প্রশ্ন আছেই। লজ্জার বিষয় তাই হয়তো অনেক মহিলাই মাসিক নিয়ে কারো সাথে খুলা-মেলা (মাসলা-মাসায়েল) আলোচনা করতে পারেন না।

তাই আমরা কোরআনের আলো ব্লগের পক্ষ থেকে একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এখন থেকে প্রতি মঙ্গলবার মহিলাদের দৈনন্দিন জীবনে জরুরি মাসায়েল সম্পর্কিত পোষ্ট করা হবে ইন-শা-আল্লাহ, আল্লাহু-তায়ালা। এইসব পোষ্টের মাধ্যমে বালিকা থেকে মহিলা প্রায় সবার মাসায়েল বা সমস্যা গুলো ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে। এই পোষ্ট গুলো মহিলাদের জরুরি মাসায়েল নামে ব্লগের ম্যানুবারে পেয়ে যাবেন।

আল্লাহু তায়ালা আমাদের সবাইকে দ্বীন প্রচারের জন্য কবুল করুণ।


প্রশ্ন: গর্ভাশয় থেকে নির্গত রক্ত কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর: মহিলাদের লজ্জাস্থান থেকে যে রক্ত নির্গত হয়, তা তিন প্রকারঃ

১. হায়েয, ২. নেফাস, ৩. ইস্তেহাযা।

 

 হায়েয এর পরিচয়

হায়েয এর শাব্দিক অর্থ হলো- বহির্গমনকারী রক্ত। শরিয়ত বিশেষজ্ঞদের পরিভাষায় হায়েয বলা হয়, রোগ মুক্ত বা সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া ব্যতীত একজন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্কা মেয়ের বাচ্চাদানী বা গভার্শয় থেকে যে রক্ত নির্গত হয় তাকে হায়েয বা রক্তস্রাব বলে ।

 

সম্পর্কিত পোষ্ট

কন্যা সন্তান আল্লাহর রহমত

ইসলামে নারীর পর্দার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয

মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছদ


হায়েয এর ঐতিহাসিক বর্ণনা

আদিমাতা হযরত হাওয়া (আ.) যখন নিষিদ্ধ গাছের ফল খান, তখন আল্লাহ তাআলা তাকে এই অবস্থায় পতিত করেন (ঋতুস্রাবে লিপ্ত করে দিলেন)। তখন থেকেই তাঁর কন্যাদের মাঝে এ স্রাব অব্যহত রয়েছে, এমনকি কেয়ামত পর্যন্ত অব্যহত থাকবে। খাইরুল ফাতাওয়া নামক কিতাবে এসেছে ‘সর্বপ্রথম বনী ইসরাঈলী নারীদের মধ্যে হায়েয শুরু হয়েছে। কিন্তু ইমাম বুখারী রহ. এ মত প্রত্যাখান করেছেন।


হায়েয এর সূচনা ও সমাপ্তির বিবরণ

নয় বছরের পূর্বে এবং পঞ্চান্ন বছরের পরে সাধারণত কোনো মহিলার ঋতুস্রাব হয় না। সুতরাং যদি নয় বছরের পূর্বে কোনো মেয়ের স্রাব দেখা দেয়, তাহলে তা হায়েয নয়, বরং তা ইস্তেহাযা বলে গণ্য হবে। তদ্রূপ যদি পঞ্চান্ন বছরের পর কোনো মহিলার হলুদ, সবুজ কিংবা মেটে রঙের স্রাব হয়, তখনও তা ইস্তেহাযা বলে গণ্য হবে। অবশ্য যদি পঞ্চান্ন বছর বয়সের পূর্ব হতে কোনো মহিলা যদি হলুদ, সবুজ কিংবা মেটে রঙের স্রাবে অভ্যস্ত হয়ে থাকে, তাহলে এ স্রাবকেও হায়েয বলে ধরা হবে। এমনিভাবে যদি পঞ্চান্ন বছরের পর কোনো মহিলার গাঢ় লাল বা ঘন কালো রক্ত নির্গত হয়, তখনও তা হায়েয বলে গণ্য হবে।

 

আরো পড়ুনঃ

সাহু সিজদাহ করার নিয়ম

নামাজ অবস্থায় অযূ ভঙ্গ হলে করণীয়

আকিকার গোসত কতদিন খাওয়া যাবে

প্রস্রাব-পায়খানা করার নিয়ম


হায়েয এর রং কয় ধরনের?


হায়েয এর রং ছয় ধরনেরঃ

১. লাল, ২. সবুজ, ৩. মেটে, ৪. হলুদ, ৫. খয়েরি এবং ৬. কালো।

 

ঋতুবতী নারী কত প্রকার এবং তাদের পরিচয় কী?


১. মুবতাদাআহঃ যে মেয়ের প্রথমবারের মতো হায়েয আসা শুরু হলো।

২. মু'তাদাহঃ প্রতিমাসে অথবা অভ্যাস অনুযায়ী যে মেয়ের ঋতুস্রাব হয় এবং এতে কোনো প্রকার জটিলতাও সৃষ্টি হয় না। অর্থাৎ যার হায়েয ও নেফাসের দিন নির্দিষ্ট আর তাতে সে অভ্যস্ত।

 

মু'তাদাহ নারী আবার দুই প্রকার


ক. মুত্তাফাকাহঃ যে নারীর হায়েয আসার দিন-তারিখ সবসময় একরকম।

খ. মুখতালিফাহঃ যে নারীর হায়েয আসার দিন-তারিখ সবসময় একরকম নয়, বরং কখনো তিনদিন, কখনো ছয় দিন, আবার কখনো নয় দিন ইত্যাদি।

 

হায়েযের নেফাসের হুকুম


মাসিক চলাকালীন যেসব কাজ করা নাজায়েয তথা হারাম সেগুলো হলোঃ


১. নামায পড়া।


২. রোযা রাখা।


৩. কুরআনে কারিম তিলাওয়াত করা।


৪. কুরআন শরিফ স্পর্শ করা।


৫. মসজিদে গমন করা।


৬. তাওয়াফ করা।


৭. সহবাস করা।


হায়েয বন্ধ হওয়ার পর কাযা নামায আর পড়তে হবে না। কেননা, কাযা হওয়া নামাযসমূহ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তবে রমজানের রোজাসমূহ অন্য যেকোনো সময় পবিত্র অবস্থায় কাযা করতে হবে।

 

আরো পড়ুনঃ

তওবা কবুল হওয়ার শর্ত

তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ

নামাজে টুপি খুলে গেলে করণীয়


প্রশ্নঃ হায়েয এর দিনগুলোর রোযা পরবর্তীতে কাযা করতে হয়। কিন্তু নামায কাযা করতে হয় না কেন? এর মধ্যে কী হেকমত বা প্রজ্ঞা নিহিত রয়েছে?

উত্তরঃ একমাত্র আল্লাহ তা'আলাই ভালো জানেন। তবে নামায এমন আমল যা সারা বছর দৈনিক পাঁচবার আদায় করতে হয়। কোনো দিন তার ব্যত্যয় ঘটে না। এমতাবস্থায় হায়েযগ্রস্থ মহিলা যদি তার হায়েযের দিনগুলোর নামায কাযা দিতে হয়, তাহলে পবিত্র অবস্থায় প্রত্যেক দিনের নির্ধারিত নামায ছাড়াও অতিরিক্ত দ্বিগুণ নামায আদায় করতে হবে। যা তার পক্ষে অসুবিধাজনক নয় শুধু, কষ্টসাধ্য ব্যাপারও বটে। পক্ষান্তরে রোযার ব্যাপারটি তার থেকে ভিন্ন। কারণ রোযা ফরজ হয় সারা বছরে মাত্র একমাস। ফলে রোযা কাযা করার মধ্যে তেমন কোনো কষ্ট নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, “আল্লাহ তোমাদের বোঝা হালকা করতে চান, বস্তুত মানুষ সৃষ্টিগত ভাবে দুর্বল।”
আল্লামা শায়খ আবদুল হাই লাখনুভী রহ. বলেন, হযরত হাওয়া (আ.) নিষিদ্ধ ফল ‘গন্দম’ ভুলক্রমে খেয়ে আল্লাহর আদেশ অমান্য করার কারণে আল্লাহ তা'আলা তাকে হায়েযের সম্মুখীন করে দিয়েছেন। অতঃপর জান্নাত থেতে দুনিয়াতে আসার পর হযরত হাওয়া (আ.) যখন সর্বপ্রথম হায়েয শুরু হয়, তখন তিনি হযরত আদম (আ.)-কে নামায পড়া-না পড়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। হযরত আদম (আ.) বললেন, আমার জানা নেই। তখন আল্লাহ তাআলা হায়েয অবস্থায় নামায পড়ার নিষেধাজ্ঞা জারি হবার মর্মে ওহী প্রেরণ করেন। কিছুদিন পর যখন হায়েয থেকে পবিত্র হয়ে যান, তখন পুনরায় হযরত আদম (আ.)-কে হায়েযের দিনগুলোর নামায কাযা করার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। হযরত আদম (আ.) বললেন আমার জানা নেই। তখন আল্লাহ তাআলা আবার নামায কাযা না হওয়ার ব্যাপারে ওহী নাযিল করেন। এরপর যখন রোযা অবস্থায় তার হায়েয আসল, তখন তিনি হযরত আদম (আ.)-কে রোযা রাখা না রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে, হযরত আদম আ. নামাযের বিধানের উপর অনুমান করে রোযা কাযা না করার কথা বললেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলা রোযা কাযা করার আদেশ স্বরূপ ওহী প্রেরণ করেন।

শিক্ষা 

১. মহিলাদের উচিত, প্রতিটি বিষয়ে তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করা, স্বামীর সাথে পরামর্শ করা এবং স্বামীর বিরোধিতা না করা।

২. স্বামীর উচিত, স্ত্রী কোনো কিছু জিজ্ঞেস করার পর তার উত্তর জানা না থাকলে, ভালোভাবে জেনে উত্তর দেয়া এবং সুন্দর সমাধান বের করার চেষ্টা করা।

আরো পড়তে পারেনঃ

৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

প্রথম কাতারে নামাজ পড়ার ফযীলত

সালাতুস তাসবীহ

নামাজ বা সালাত আদায়ের নিয়ম

শিরকের বিবরণ

জুমার গুরুত্ব ও ফজিলত

ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার পর্ব ১

ইসলামে মেহমানদারির গুরুত্ব ও বিধান

ফকির মিসকীনের হক বা অধিকার

ফরজ সালাতের পরের দোয়া ও জিকির

হালাল উপার্জন

হারাম উপার্জনের পরিণতি

ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী

দোয়া করার নিয়ম

মহানবীকে স্বপ্নে দেখার উপায়

যে সময় দোয়া কবুল হয়

ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত

কবিরা গুনাহসমূহ

যৌবনকাল ইসলামে ইবাদতের শ্রেষ্ঠ সময়

চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত #তাকবীরউলা

হস্তমৈথুন এবং এটা থেকে বাঁচার উপায়

দামি আতর কেনা কি অপচয় হিসেবে বিবেচিত হবে?

দুই মসজিদ কাছাকাছি, কোন মসজিদে নামাজ পড়বেন?

চেয়ারে বসে নামাজ পড়ার বিধান

মোবাইল ফোনে কোরআন তেলাওয়াতের আদব

 দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ

Popular Posts