কন্যা সন্তান জাহান্নাম থেকে মুক্তিলাভের উপায়ঃ
عن عائشة (رض) قالت جاء ثني امراة ومعها ابستان لها تسـالـي فلم تـجـد عـنـدي عـيـر تـمرة واحدة فأعطيتها اياها فقسمتها بين ابنتيها ولم تشكل منها، ثم قامت فـحـرجت فـدحل النبي صلي الله عليه وسلم فحدثته فقال، من ابتلي من هذه السات یشی فاحس اليهن كن له سترا من النار - بخاری، مسلم
শব্দের অর্থঃ ‘জাআতনী’-আমার কাছে এলো। ‘তাসআলুনী’-সে আমার
কাছে কিছু সাহায্য চাইলো। ‘ফালাম তাজিদ’-সে পেলো না । ‘গায়রা তামারাতিন’-একটি খেজুর
ব্যতিত।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, একদা একজন মহিলা তার দুটো কন্যা সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আমার নিকট এলো এবং
তাদের জন্যে কিছু সাহায্য চাইলো। সে সময় একটি খেজুর ব্যতীত আমার ঘরে আর কিছুই পেলাম
না। অতঃপর সেই খেজুরটিই আমি তাকে দিয়ে দিলাম। মহিলা খেজুরটিকে দু’ভাগ করে মেয়ে দুটোকে
দিয়ে দিলো। নিজে তার একটুও খেলো না। এরপর সে উঠে চলে গেলো । কিছুক্ষণ পর রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশ করলেন। আমি তাকে উক্ত ঘটনা খুলে বললাম।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যে ব্যক্তি কন্যা সন্তান দ্বারা
পরীক্ষায় নিক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করে। কিয়ামতের দিন তারা তার ও জাহান্নামের
মাঝখানে দেয়াল হয়ে দাঁড়াবে।”- বুখারী, মুসলিম
সম্পর্কিত পোষ্ট
মা-বাবা সাথে সন্তানের আচরণ
কেমন হবে
ইসলামে
প্রতিবেশীর অধিকার পর্ব ১
ইসলামে মেহমানদারির গুরুত্ব ও বিধান
ব্যাখ্যাঃ অর্থাৎ আল্লাহ যাকে পুত্র সন্তান না দিয়ে শুধু কন্যা সন্তানই দিতে থাকেন এটাকেও আল্লাহর নিয়ামত বলে মনে করতে হবে। কেননা আল্লাহ দেখতে চান, পিতামাতা এ কন্যা সন্তানের সঙ্গে কিরূপ ব্যবহার করেন। এরা রোজগার করে তাকে খাওয়াবে না। তাদের সঙ্গে চিরকাল থাকবেও না। এ অবস্থায় এদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করা হলে কিয়ামতের দিন তারা পিতামাতার জন্যে দোযখ থেকে নাজাতের কারণ হয়ে দাঁড়াবে ।
কন্যা
সন্তানকে সুশিক্ষা দানের সুফলঃ
(١٦٧) عن ابن عباس (رض) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من أوي يـتـيـمـا إلـي طـعـامـه وشرابه أو جب الله له الجنة البته الا ان يعمل ذنبا لا يغفر ومن عال ثلاث بنات أو مثلهن من الأخـوات فـادبهن ورحـمـهـن حـتى يغنيهن الله أوجب الله له الجنة، فقال رجل يا رسول الله صلى الله عليه وسلم أو اثنتين؟ قال أو اثنتين حتي لو قالوا أو واحدة فقال واحدة ومن أذهب الله كريمتيه وجبت له الجنة قيل يارسـول الله صلى الله علـيـه وسـلـم ومـا کریمتاه ؟ قال عيناه - مشكوة
শব্দের অর্থঃ ‘মান’-যে ব্যক্তি।
‘আওজাবাল্লাহু’-আল্লাহ ওয়াজিব করে দেবেন। ‘মিছলাহুন্না’ -তাদের মতো।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি
কোন ইয়াতীমকে আশ্রয় দেয়, নিজের সঙ্গে খানাপিনায় শরীক করে আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত
সুনিশ্চিতভাবে ওয়াজিব করে নিয়েছেন। অবশ্য সে যদি এমন কোন পাপ না করে যা ক্ষমার অযোগ্য।
আরোও পড়তে পারেনঃ
ইসলামে নারীর পর্দার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
মহিলাদের
যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয
যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তান কিংবা অনুরূপ
তিনটি বোনকে লালন-পালন করেছে। শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছে। স্বাবলম্বী না হওয়া পর্যন্ত
এদের সঙ্গে সদয় ব্যবহার করেছে। আল্লাহ তার জন্যেও জান্নাত ওয়াজিব করে নিয়েছেন। অতঃপর
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর
রাসূল। দু’জনের সঙ্গে যদি এরূপ করা হয়? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেনঃ দু’জন হলেও। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছেন, লোকেরা যদি একজনের
সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করতো তাহলে তিনি অবশ্যই বলতেন, “একজন হলেও।”
আর যে ব্যক্তির নিকট থেকে আল্লাহ দু’টি উত্তম
জিনিস নিয়ে গেছেন তার জন্যেও জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো দু’টো উত্তম
জিনিস কি? তিনি বললেন, তার দু’টো চোখ। –মিশকাত
ব্যাখ্যাঃ এ হাদীসে প্রকারান্তরে
একটি কথা বলা হয়েছে, যদি কোন লোকের ছেলে না হয়ে শুধু মেয়েই হতে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে
দুর্ব্যবহার না করে পরিপূর্ণ স্নেহ-মমতা দিয়ে লালন-পালন করা উচিত। তাদেরকে ধর্মীয় শিক্ষা
প্রশিক্ষণ দানে সুশিক্ষিতা করে উপযুক্ত পাত্রে বিয়ে না দেয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে স্নেহ
ও মমত্বপূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। যে ব্যক্তি তার কন্যা সন্তানদের সঙ্গে এরূপ ব্যবহার
করবে আল্লাহর রাসূল তার জন্যে জান্নাতের সুখবর দিয়েছেন।
অনুরূপভাবে কোন ভাই যদি তার ছোট ছোট বোনদের
সাথে দুর্ব্যবহার না করে আদর-যত্ন সহকারে লালন-পালন করে। সুপাত্রে বিয়ে না দেয়া পর্যন্ত
এদের সঙ্গে স্নেহপূর্ণ ব্যবহার করতে থাকে। তাহলে তার জন্যেও আল্লাহর রাসূল জান্নাতের
সুসংবাদ দান করেছেন।
নামাযের
প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ
নামাজ বা সালাত আদায়ের নিয়ম
নামাজ ছেড়ে দেয়ার পরিণতি/নামাজ না
পড়ার শাস্তি
নামায অবস্থায় অযূ ভঙ্গ হলে করণীয়