আর যারা অবহেলা করে, তারা ব্যর্থ
হয়। যে ব্যক্তি তার যৌবনকাল আল্লাহর ইবাদতে ব্যয় করবে সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের
ছায়ায় আশ্রয় পাবে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ সাত জনকে তাঁর (আরশ) ছায়াতলে রাখবেন।
যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না। (তাদের মধ্যে) যার যৌবন কেটেছে আল্লাহর
আনুগত্যে। (বুখারি: ৬৬০; মুসলিম: ১০৩১)
আরোও পড়তে
পারেন
নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ
নামাজ বা সালাত আদায়ের নিয়ম
যৌবন মানুষের জন্য একটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ আশীর্বাদ। এ সময় মানুষের ইবাদতের শক্তি ও স্বাস্থ্য দুটোই থাকে। এ সময়
মানুষ যতটা পবিত্রতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করতে পারে, বৃদ্ধ হয়ে গেলে তা অনেক সময়ই সম্ভব
হয় না। তাই এই মহামূল্যবান নেয়ামতকে কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। কেননা, কিয়ামতের
দিন যৌবনের সময়ের হিসাব নেওয়া হবে। (তিরমিজি: ২৪১৬)
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, 'আল্লাহ
তায়ালা সকল নবীকে তাদের যৌবনে নবুওয়াত দান করেছেন, আলেমদেরকে যৌবনে জ্ঞান দান করা হয়েছে।'
আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'যখন তিনি (মুসা (আ.) পূর্ণ যৌবনে উপনীত হন, আমি তাকে জ্ঞান ও
ব্যুৎপত্তি দান করি।' (সুরা-২৮ কাসাস, আয়াত: ১৪)
আরোও পড়তে
পারেন
ইসলামে মেহমানদারির গুরুত্ব ও বিধান
ইসলামে
প্রতিবেশীর অধিকার পর্ব ১
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত কাহাফের সাহাবীদের
সাতজন পরহেজগার ব্যক্তিও ছিলেন যুবক। যারা এক আল্লাহর ইবাদতে বিশ্বাসী। যাকে আল্লাহ
তায়ালা শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করেছেন। সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন, '(হে রাসূল!) আমি
আপনার কাছে তাদের ইতিহাস সঠিকভাবে বর্ণনা করেছি। তারা কয়েকজন যুবক ছিল। তারা তাদের
প্রভুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং আমি তাদের সঠিক পথে শক্তিশালী করেছি।' (সুরা-১৮
কাহাফ, আয়াত: ১৩)
ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রেও তরুণরাই
ছিল অগ্রগামী। বনী ইসরাঈলের সন্তানরা সর্বপ্রথম মুসা (আঃ)-কে বিশ্বাস করে। হজরত মুহাম্মদ
(সা.)-এর আহ্বানে প্রথম শতাধিক যুবক ইসলাম গ্রহণ করেন। এবং তাদের বেশিরভাগের বয়স ছিল
১৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। ইমাম ইবনে কাসির (রহঃ) বলেন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ডাকে
সাড়া দিয়েছিল তাদের অধিকাংশই ছিল যুবক। (তাফসিরে ইবনে কাসির)
যদিও সারা জীবন আল্লাহর কাছে জবাবদিহি
করতে হবে, কিন্তু যুবকদের বিশেষভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
'আদম সন্তানের দুই পা আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে এক কদমও নড়বে না যতক্ষণ না তাকে কিয়ামতের
দিন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে: তার যৌবন সম্পর্কে, সে কি কাজে ব্যয় করেছে,
কিভাবে সম্পদ অর্জন করেছে এবং কিভাবে ব্যয় করেছে এবং সে তার জ্ঞানকে সঠিকভাবে অনুসরণ
করেছে কি না?' (তিরমিজি: ২৪১৭)
আরোও পড়তে
পারেন
আকিকার গোসত কতদিন খাওয়া যাবে
শিরকের বিবরণ
প্রস্রাব-পায়খানা করার নিয়ম
ঢিলা-কুলুখ
ব্যবহারের নিয়ম
মা-বাবা সাথে সন্তানের আচরণ কেমন হবে
আল-কোরআনে, সর্বশক্তিমান আল্লাহ
সময়ের নামে শপথ করেছেন, তিনি মানুষকে ক্ষতি থেকে বাঁচাতে সময়ের প্রতি গুরুত্ব দিতে
নির্দেশ দিয়েছেন। যুবসমাজই যুগে যুগে সকল পাপ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি
জাতির ইতিহাসে দেখা যায়, তরুণরা তাদের স্বাধীনতা, শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রধান
ভূমিকা পালন করেছে। এমনই একজন যুবক ছিলেন ইব্রাহিম (আ.), যিনি প্রথম তার গোত্রের মূর্তিপূজার
বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে, "তাদের কেউ কেউ বলল, আমরা এক
যুবককে এই মূর্তিগুলোর সমালোচনা করতে শুনেছি।" তাকে ইব্রাহিম বলা হয়। (সুরা-১৪
ইব্রাহিম, আয়াত: ৬০)।
যৌবনের উদ্যম ও শক্তি সঠিক পথে,
সঠিক কাজে ব্যয় হলে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ গড়ে ওঠে। কারণ তরুণরাই মূল চালিকাশক্তি।
তারা ঐক্যবদ্ধ হলে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ, পথ হারালে গোটা জাতি পথ হারায়। প্রত্যেক যুবকের
উচিত তার যৌবনকে পাপমুক্ত রেখে আল্লাহর ইবাদতে সাজানো। আল্লাহকে ভয় করা। মানুষের উপকার
করার জন্য। সৎ কাজের আদেশ করা এবং অসৎ কাজে নিষেধ করা। তাহলে আমাদের সমাজ আরও সুন্দর
ও নিরাপদ হবে, ইনশাআল্লাহ!
নামায
অবস্থায় অযূ ভঙ্গ হলে করণীয়
মহানবীকে স্বপ্নে দেখার উপায়
যে সময় দোয়া কবুল হয়
আকীকা এবং কিছু ভ্রান্ত ধারণা
তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়
ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব
সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত
কবিরা
গুনাহসমূহ
পাঁচ কালেমা আরবি ও বাংলা অর্থসহ উচ্চারণ
ইসলামে নারীর পর্দার গুরুত্ব
ও প্রয়োজনীয়তা
মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয
নামাজের গুরুত্ব
ও প্রয়োজনীয়তা এবং নামাজ সম্পর্কে ঘটনা পর্ব ১