দুই মসজিদ কাছাকাছি, কোন মসজিদে
নামাজ পড়বেন?
মসজিদের সম্প্রসারণ এবং মসজিদের
বৃদ্ধি, এমনকি একি পাড়ায় বা মহল্লাতে হলেও তা কল্যাণের লক্ষণ। এটা মানুষকে আল্লাহর
ঘরে নামাজ পড়তে উৎসাহিত করে। কিন্তু তারপরেও কিছু বিষয় সচেতন হতে হবেঃ
ð মসজিদগুলি একে অপরের
খুব কাছাকাছি তৈরি করা উচিত নয়, যাতে এটি মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে। হয়তো
এসব মসজিদ নির্মাণে কিছু অপচয় হবে, বাহাদুরি থাকবে এমনকি কোনো কোনো মসজিদ মুসল্লির
অভাবে কখনো কখনো বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ð উভয় স্থানে জুমুআর
নামাজ না পড়া। বরং জুমার নামাজ দুটির মধ্যে বৃহত্তর মসজিদে আদায় করা, যাতে সব মুসল্লি
এক মসজিদে সমবেত হতে পারেন।
ð যেখানে মসজিদ নেই সেখানে
মসজিদ নির্মাণ করা। যেখানে মসজিদ আছে কিন্তু সেখানে নামাযীদের জায়গা সংকুলন হয় না,
তারপরেও যেখানে মসজিদ নেই সেখানে মসজিদ নির্মাণ করা উত্তম।
সম্পর্কিত পোষ্ট
Ø নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ
Ø
নামাজ
বা সালাত আদায়ের নিয়ম
Ø
কাযা
নামাজ পড়ার নিয়ম
Ø
তওবার নামাজ কিভাবে
পড়তে হয়
নিম্নোক্ত কারণে প্রথম
মসজিদে নামাজ পড়া উত্তমঃ
ð সব মুসল্লি
এক মসজিদে সমবেত হন। এর মাধ্যমে তাদের মধ্যে সম্প্রীতি বাস্তবায়িত হবে এবং সম্পর্ক
বৃদ্ধি পাবে। তারা জানতে পারবে তাদের মধ্যে কে অসুস্থ এবং তাকে দেখতে যেতে পারবে। গরীবদের
সাহায্য করতে পারে। মৃত ব্যক্তির জানাজা পড়তে পারেন এবং তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে
পারেন।
ð যে মসজিদে এলাকার সব
মানুষ নামাজ পড়ে, তা তা’লীম ও ওয়াজ করার জন্য উত্তম। কারণ যখন কোনো আলেম তাদের শিক্ষা
দিতে আসেন বা ওয়াজ করতে আসেন, মানুষ যদি সবাই এক জায়গায় সমবেত হয়, তাহলে তাদের সবার
কাছে কল্যাণ ও সুফল পৌঁছে যায়।
আরো
পড়ুনঃ
Ø
প্রথম কাতারে নামাজ পড়ার ফযীলত
Ø
নামাজ অবস্থায় অযূ ভঙ্গ হলে করণীয়
Ø আকিকার গোসত কতদিন খাওয়া যাবে
Ø
প্রস্রাব-পায়খানা
করার নিয়ম
Ø
ঢিলা-কুলুখ ব্যবহারের
নিয়ম
ð নামাযের জামাতে মুসল্লির
সংখ্যা যত বেশি, তা আল্লাহর কাছে তত বেশি প্রিয়।
ð রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয়
কোন ব্যক্তির একজনের সাথে নামাজ আদায় করা একা নামাজ আদায় করার চেয়ে বেশি সওয়াবের কাজ এবং দুই জনের সাথে নামাজ আদায় করা একজনের সাথে নামাজ আদায় করার
চেয়ে বেশি সওয়াবের কাজ।
ð যে ব্যক্তি সীমান্তবর্তী
নয় তার জন্য মসজিদে নামাজ পড়া উত্তম যেখানে সে উপস্থিত
হলে জামাত অনুষ্ঠিত হয়, আর তিনি উপস্থিত না থাকলে জামাত হয় না। এর উদাহরণ হলঃ
যদি এমন একটি মসজিদ থাকে যেখানে লোকেরা নামাজ
পড়ে, কিন্তু এমন একজন ব্যক্তি আছেন যিনি উপস্থিত হলে ইমাম হন এবং জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আর যখন তিনি উপস্থিত থাকেন না, তখন সেখানে নামাজের বেগাদ ঘটে। মসজিদ আবাদ করার জন্য
ঐ ব্যক্তির জন্য এই মসজিদে নামাজ পড়া উত্তম। কারণ সে হাজির না হলে মসজিদ বিরান হয়ে
পড়ে। মসজিদ বিরান করা অনুচিত। ঐ লোকের এই মসজিদে নামাজ পড়া, সে মসজিদে নামাজ পড়ার
চেয়ে উত্তম যেখানে অনেক লোক নামাজ পড়ে।
Ø তওবা কবুল হওয়ার শর্ত
Ø ৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়
Ø সালাতুস তাসবীহ
Ø দোয়া করার নিয়ম
Ø মহানবীকে
স্বপ্নে দেখার উপায়
Ø যে সময় দোয়া কবুল
হয়
Ø ইবাদত কবূল হওয়ার
শর্তাবলী ১ম পর্ব
Ø সূরা ফাতিহার
বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত
Ø
কবিরা গুনাহসমূহ
Ø
পাঁচ কালেমা আরবি ও বাংলা অর্থসহ
উচ্চারণ
Ø
শিরকের বিবরণ
Ø মা-বাবা সাথে সন্তানের আচরণ কেমন
হবে
Ø
মহিলাদের
যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয
Ø
জুমার
গুরুত্ব ও ফজিলত
Ø ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার পর্ব ১
Ø ইসলামে মেহমানদারির
গুরুত্ব ও বিধান
Ø ফরজ সালাতের পরের দোয়া ও জিকির
Ø যৌবনকাল ইসলামে ইবাদতের শ্রেষ্ঠ সময়
Ø চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত #তাকবীরউলা
Ø আমানত ও ওয়াদা রক্ষার
গুরুত্ব