Breaking

August 30, 2022

আমানত ও ওয়াদা রক্ষার গুরুত্ব

আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষার গুরুত্ব

নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনন্য একটি গুণ হলো সত্যবাদিতা ও বিশ্বস্ততা। এই কারণে, কাফির, মুশরিকরাও তাকে ‘আল আমিন’ বা ‘বিশ্বাসী’ বলে অভিহিত করেছেন। আমানতদারি বা বিশ্বস্ততা অনন্য বৈশিষ্ট্য।


 
ইসলামে আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষার গুরুত্ব,আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষার গুরুত্ব,আমানত রক্ষার পুরস্কার ও খেয়ানতের শাস্তি,ইসলামে আমানতের গুরুত্ব,ওয়াদার গুরুত্ব,ওয়াদা বা প্রতিশ্রুতি পালনের গুরুত্ব,ইসলামে ওয়াদার গুরুত্ব,আমানত ও ওয়াদা ইসলাম কি বলে,ইসলামের দৃষ্টিতে আমানত,ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা,ইসলামে অঙ্গীকার,ইসলামে,বন্ধুত্ব ও শত্রুতা,প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারীর পরিণাম,ইসলামের দৃষ্টিতে ওয়াদা ভঙ্গকারির শাস্তি,ওয়াদা রক্ষা করা,ওয়াদার গুরুত্ব,ওয়াদা পালনের গুরুত্ব,আমানতের খেয়ানত করছেন এখনই সাবধান হোন শুনুন ইসলাম কি বলে,ইসলামের দৃষ্টিতে কথা না রাখার শাস্তি,ওয়াদা রক্ষা,আমানত কি,আমানতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য,আমানতের গুরুত্ব,আমানত ও ওয়াদা রক্ষা,ইসলামে আমানত রক্ষা করার গুরুত্ব,আমানত,আল্লাহর আমানত ও মানুষের ওয়াদা,ওয়াদা পালনের গুরুত্ব,ওয়াদা রক্ষা,আমানত রক্ষা,ইসলামে ওয়াদার গুরুত্ব,ওয়াদা বা প্রতিশ্রুতি পালনের গুরুত্ব,আমানত রক্ষা করা,আমানত ও ওয়াদা ইসলাম কি বলে,কিভাবে আমানত রক্ষা করব,আমানতের খেয়ানত কত প্রকার ও কি কি?,আমানত কি,ওয়াদা ভঙ্গ করার শাস্তি,আমানত কি ও কোনটা,ওয়াদা রক্ষা করা,আমানত কি ও কোনটা,ইসলামে সততা, ওয়াদা ও আমানত রক্ষার গুরুত্ব,ইসলামে আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষার গুরুত্ব,আমানত রক্ষার গুরুত্ব,প্রতিশ্রুতি রক্ষা মুমিনের গুণ,ইসলামে চুক্তি রক্ষার গুরুত্ব,প্রতিশ্রুতি রক্ষা ঈমানের দাবি,অঙ্গীকার ভঙ্গকারীকে আল্লাহ কঠিন শাস্তি,আমানতের গুরুত্ব ও খিয়ানতের ভয়াবহতা,আমানত কত প্রকার,আমানতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য,আমানত ও ওয়াদা রক্ষা,আমানতের গুরুত্ব,ইসলামে আমানত রক্ষা করার গুরুত্ব,আল্লাহর আমানত ও মানুষের ওয়াদা,ওয়াদা পালনের গুরুত্ব,ওয়াদা রক্ষা,আমানত ও ওয়াদা ইসলাম কি বলে,ওয়াদা রক্ষা করা কী,আমানত,ওয়াদা বা প্রতিশ্রুতি পালনের গুরুত্ব,কিভাবে আমানত রক্ষা করব,ওয়াদা রক্ষা করা,আমানত সম্পর্কে ওয়াজ,আমানতের খেয়ানত কত প্রকার ও কি কি?,ওয়াদা ভঙ্গ করার শাস্তি,আমানত কি,ওয়াদা রক্ষার জন্য যে সাহাবী জীবন দিয়েছে,ইসলামে ওয়াদার গুরুত্ব,আমানত কি ও কোনটা


আমানতকারী ব্যক্তি কে সব সমাজে প্রশংসা করা হয়। আল্লাহ সত্য মুমিনদেরকে উপস্থাপন করেছেন এবং বলেন, ‘তারা (মুমিনরা) সেসব লোক, যারা আমানতের প্রতি লক্ষ রাখে এবং স্বীয় অঙ্গীকার হেফাজত করে।’ (সূরা -২৩ মমিনুন, আয়াতঃ ৮) নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের আদেশ করেছেন, আমানত তার সত্যিকারের পাওনাদারদের কাছে ফেরত দেন। ‘(সূরা -৪ নিসা, আয়াত: ৫৮)

আরোও পড়তে পারেন

ইসলামে মেহমানদারির গুরুত্ব ও বিধান

ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার পর্ব ১

ফকির মিসকীনের হক বা অধিকার


সৃষ্টির শুরুতে, আল্লাহ তাঁর আমানত সোপর্দ করার জন্য আকাশ, জমিন, পাহাড় ও লোকেদের প্রস্তাব করেছিলেন। আমরা এই আমানতকে আকাশ, পৃথিবী ও পর্বতমালার কাছে উপস্থাপন করেছি। তারপর তারা এটি বহন করতে অস্বীকার করে এবং চিন্তিত ছিল, কিন্তু মানুষ এটি বহন করে। আসলে, সে অতিশয় জালিম ও অজ্ঞ। (সূরা -৩৩ আজাবাব, আয়াত: ৭২)

এই আমানতের সম্প্রসারণ জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে। ব্যক্তিগত জীবনে একনিষ্ঠতার সঙ্গে ইবাদত করা তথা আল্লাহর আদেশ পালন করা ও নিষেধ থেকে বিরত থাকা, হালাল-হারাম মেনে চলা, লেনদেনে, চালচলনে, কাজেকর্মে আল্লাহর বিধিবিধান মেনে চলাসবই আমানতদারির বিভিন্ন অংশ। ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনের আমানতদারী রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। মুনাফিকদের চিহ্ন আমানত রক্ষা না করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে মুনাফিকদের লক্ষ্যণ তিনটি-

১। মিথ্যা কথা বলে,

২। প্রতিশ্রুতি ভেংগে ফেলে,

৩। আর আমানত খিয়ানত করে। (বুখারী: ৩২)

 

আরোও পড়তে পারেন

কন্যা সন্তান আল্লাহর রহমত

নামাজে টুপি খুলে গেলে করণীয়

যৌবনকাল ইসলামে ইবাদতের শ্রেষ্ঠ সময়

চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত #তাকবীরউলা



প্রিয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার মধ্যে এই চারটি স্বভাব রয়েছে, সে খাঁটি মুনাফিক। আর যার মধ্যে মুনাফিকদের একটিও চিহ্ন আছে, তার মধ্যে মুনাফিকের লক্ষণ বিদ্যমান যতক্ষণ না সে তা পরিত্যাগ করে।

১। মিথ্যা কথা বলে,

২। প্রতিশ্রুতি ভেংগে ফেলে,

৩। আমানত খিয়ানত করে ও

৪। ঝগড়ার সময় অশ্লীল কথা বলে। (বুখারী: ৩৩)


আমানতের অর্থ ব্যাপক। এর প্রধান অনুষঙ্গ তিনটি- জীবন, সম্পদ এবং সম্মান আছে। এতে আর্থিক আমানত, গোপনীয়তার আমানত, সম্মানের আমানত, কর্তব্যের আমানত, বিশ্বাসের আমানত, ইসলামিক দাওয়াতের আমানত, দ্বীন প্রতিষ্ঠার আমানত, ন্যায়বিধান বাস্তবায়নের আমানত, রাষ্ট্রীয় আমানত, নেতৃত্ব ও পদমর্যাদার আমানত, জনগণের আমানত, সংগঠনের আমানত, চাকরি-ব্যবসায়ের আমানত, স্বামী-স্ত্রীর আমানত, পরিবারের আমানত ইত্যাদি।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তুমি আমানত আদায় কর, যে তোমার কাছে আমানত রেখেছে। আর তোমার সঙ্গে যে খিয়ানত করেছে, তার সঙ্গে খিয়ানত করো না।’ (আবুদাউদ: ৩৫৩৫, তিরমিজি: ১২৬৪) আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করো, নিশ্চয়ই অঙ্গীকার সম্পর্কে (কিয়ামতের দিন) তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে।’ (সুরা-১৭ বনি ইসরাইল, আয়াত: ৩৪)



আরোও পড়তে পারেন

ফরজ সালাতের পরের দোয়া ও জিকির

বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ ৪টি শ্রেষ্ঠ দুরুদ শরীফ

হালাল উপার্জন

হারাম উপার্জনের পরিণতি

সফল মুমিনদের সাতটি গুণাবলি- ‘যারা তাদের আমানত এবং অঙ্গীকার রক্ষা করে।’ (সূরা -২৩ মুমিনুন, আয়াত: ৮, সূরা ৭০ মায়ারিজ, আয়াতঃ ৩২), ‘আল্লাহ বললেন, আমানতসমূহ তার প্রকৃত হকদারীয়দের পৌছে দাও।’ (সূরা -৪ নিসা, আয়াতঃ ৫৮) ‘আর তুমি খিয়ানতকারীদের পক্ষে বাদী হয়ো না।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ১০৫)

আমানত খিয়ানত দ্বারা ইমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পবিত্র কুরআনে এরশাদ রয়েছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের খিয়ানত করো না। আর খিয়ানত করো না নিজেদের আমানতসমূহের, অথচ তোমরা জানো।’ (সুরা-৮ আনফাল, আয়াত: ২৭)

আল্লাহ প্রদত্ত সমস্ত নিয়ামতই আমাদের কাছে আমাদের কাছে আমানত। এগুলির হেফাজত রাখতে হবে, না হলে আখেরাতে দায়বদ্ধ হতে হবে না। উদাহরণস্বরূপ: জীবন, যৌবন, চোখ, কান, বাকশক্তি, হাত-পা ইত্যাদি। যে সম্পদটি আল্লাহ তাআলা দিয়েছেন তা ধর্মের পথে মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। অন্যথায় এটি খিয়ানত হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এরশাদ আল কুরআনে রয়েছেন, ‘যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতিগুলি হেফাজত করে,যারা নামাজের ব্যাপারে যত্নবান হয় এই লোকেরা জান্নাতের উত্তরাধিকারী। তারা অনন্তকাল সেখানে থাকবে। (সুরা-২৩ মুমিনুন, আয়াত: ৮-১১)

নবী করিম (সা.) বলেন, ‘একজন সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ী আখিরাতে নবীগণ, সিদ্দিকগণ, শহীদগণ এবং সলিহিনগণের সাথে থাকবে।’ (তিরমিজ: ৩/১২০৯)

 

 

আরো পড়তে পারেনঃ

Ø পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত

Ø নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়াসমূহ

Ø নামাজ বা সালাত আদায়ের নিয়ম

Ø নামাযের গুরুত্বপূর্ণ মাসালা

Ø কাযা নামায পড়ার নিয়ম

Ø নামাজ ছেড়ে দেয়ার পরিণতি/নামাজ না পড়ার শাস্তি

Ø প্রথম কাতারে নামায পড়ার ফযীলত

Ø সাহু সিজদাহ করার নিয়ম

Ø নামায অবস্থায় অযূ ভঙ্গ হলে করণীয়

Ø ৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

Ø তওবা কবুল হওয়ার শর্ত

Ø সালাতুস তাসবীহ

Ø দোয়া করার নিয়ম

Ø মহানবীকে স্বপ্নে দেখার উপায়

Ø যে সময় দোয়া কবুল হয়

Ø আকিকার গোসত কতদিন খাওয়া যাবে

Ø আকীকা এবং কিছু ভ্রান্ত ধারণা

Ø তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

Ø ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

Ø ইসলাম ও ঈমানের দাওয়াত

Ø সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত

Ø কবিরা গুনাহসমূহ

Ø পাঁচ কালেমা আরবি ও বাংলা অর্থসহ উচ্চারণ

Ø শিরকের বিবরণ

Ø প্রস্রাব-পায়খানা করার নিয়ম

Ø ঢিলা-কুলুখ ব্যবহারের নিয়ম

Ø মা-বাবা সাথে সন্তানের আচরণ কেমন হবে

Ø জুমার গুরুত্ব ও ফজিলত

Ø ইসলামে নারীর পর্দার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

Ø মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয

Ø মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছদ

Ø নামাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং নামাজ সম্পর্কে ঘটনা পর্ব ১

Ø নামাজের প্রকারভেদ


Popular Posts