Breaking

September 3, 2022

দান সদকার গুরুত্ব ও ফজিলত/Dan Sadaka

দান-খয়রাতের গুণাবলী

 

পরোপকার মানবজাতির শ্রেষ্ঠত্বের শ্রেষ্ঠ প্রমাণ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা সর্বোত্তম উম্মত, তোমাদেরকে মানবজাতির (সার্বিক কল্যাণের) জন্য অবতীর্ণ করা হয়েছে। সৎ কাজের আদেশ দাও এবং অসৎ কাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখ।’ (সূরা-৩ আলে ইমরান, আয়াতঃ ১১০) মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা বিশ্ববাসীর প্রতি সদয় হও, তাহলে মহান আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।’ (তিরমিজিঃ 1847)


 
দান সদকার গুরুত্ব ও ফজিলত,দান সদকার ফজিলত,দান করার ফজিলত,দানের ফজিলত,দানের ফজিলত ও ঘটনা,মসজিদে দান করার ফজিলত,দান সদকার ফজিলত ও গুরুত্ব,সদকার ফজিলত,দান সদাকার গুরুত্ব ও ফজিলত,দান সদকা করার গুরুত্ব ও ফজিলত,সাদকা বা দানের গুরুত্ব ও ফজিলত,দান সাদাকার ফজিলত,রমজানে দান করার গুরুত্ব ও ফজিলত,দান সদকার ঘটনা,দান–সদকার গুরুত্ব ও ফজিলত,দান সদকার গুরুত্ব ও ফজিলত,দান সদকা,দানের গুরুত্ব,দান করার ফজিলত জেনে নিন,দান সদকা করার উপকারিতা



মানুষ সামাজিক জীব। একে অপরের সমর্থন ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন। পরার্থপরতা মানুষের অন্যতম গুণ। একটি সমাজে যখন পারস্পরিক সহযোগিতা কমে যায়, তখন সেই সমাজের মানুষ সব দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ে। সে সমাজে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, শান্তি বিনষ্ট হয়, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ম্লান হয়ে যায়।

 

আরোও পড়তে পারেন

Ø কাযা নামায পড়ার নিয়ম

Ø নামাজ ছেড়ে দেয়ার পরিণতি/নামাজ না পড়ার শাস্তি

Ø প্রথম কাতারে নামায পড়ার ফযীলত

Ø সাহু সিজদাহ করার নিয়ম

Ø নামায অবস্থায় অযূ ভঙ্গ হলে করণীয়

 

 

পারস্পরিক ভালবাসা ও সহযোগিতা ইসলামের অন্যতম বিষয়। রাসুল করিম (সাঃ) বলেছেন, সমগ্র সৃষ্টিই আল্লাহর পরিবার। তাই পরোপকারের চেতনায় কোনো শ্রেণীভেদ নেই। বড়-ছোট, ধনী-গরীব, আত্মীয়-স্বজন, স্বজাতি-বিজাতি, মুসলিম-অমুসলিম- এসব ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে ইসলাম শান্তি ও সম্প্রীতির সামাজিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, মুমিনরা মিলেমিশে থাকে। যেখানে পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো না সেখানে কল্যাণ নেই। তিনিই সর্বোত্তম ব্যক্তি, যিনি মানুষকে সবচেয়ে বেশি উপকার করেন। (মুযামুল আওসাতঃ ৫৭৮৭)

বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরণীয় এবং বিশিষ্ট চিন্তাবিদদের প্রত্যেকেই একজন পরোপকারী ছিলেন। প্রথম ওহী প্রাপ্তির পর, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ভীত হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন এবং খাদিজা (রাঃ) কে বললেন, ‘আমাকে একটি কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে দাও, আমি আমার জীবনের জন্য ভয় পাচ্ছি।’ তখন খাদিজা (রাঃ) বললেন, ‘আল্লাহ কখনো আপনার ক্ষতি করবেন না। কারণ আপনি মানুষের সেবা করেন, গরীব-দুঃখীদের জন্য কাজ করেন, অসহায় এতিমদের বোঝা বহন করেন, তাদের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করেন।’ (বুখারীঃ ৪৫৭)

আমরা ভুলে যাই আমরা মানুষ। ইসলামের চেতনা, আদর্শ ও শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাওয়ায় আজ আমাদের সমাজ হিংসা, হানাহানি, মৃত্যু, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নৈরাজ্যে জর্জরিত। তাই সমাজ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় হল পরিপূর্ণভাবে ইসলাম গ্রহণ করা। কোরআনের বাণী- ‘ইসলামে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সূরা-২ বাকারা, আয়াতঃ ২০৮)

 

আরোও পড়তে পারেন

Ø আকিকার গোসত কতদিন খাওয়া যাবে

Ø তওবার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়

Ø প্রস্রাব-পায়খানা করার নিয়ম

Ø ঢিলা-কুলুখ ব্যবহারের নিয়ম

Ø নামাজে টুপি খুলে গেলে করণীয়

 

আমাদের উচিত আমাদের জীবন, সম্পদ ও সময়কে আল্লাহর পথে অর্থাৎ আল্লাহর নির্দেশিত পথে ব্যয় করা বা বিনিয়োগ করা। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের কাছ থেকে তাদের জান ও সম্পদ জান্নাতের বিনিময়ে ক্রয় করেছেন। (সূরা-9 তওবা, আয়াতঃ 111)

যারা তাদের ধন-সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে, কিন্তু তা প্রচার করে না, তাতে অংশীদারিত্ব করে না, কষ্ট দেয় না, এর প্রতিদান তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে। পরকালে তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তাও করবে না। ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের দানসদকাকে পণ্ড করো না খোঁটা ও কষ্ট দেওয়ার মাধ্যমে।’(সুরা-২ বাকারা, আয়াতঃ ২৬২-২৬৪)

 

পরার্থপরতা জীবনের সমস্যা সমাধানের একটি অত্যন্ত কার্যকর উপায়। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন মুমিনের পার্থিব সমস্যার একটি সমাধান করে, আল্লাহ তায়ালা আখিরাতে তার একটি সমস্যার সমাধান করে দেন।’ ‘যে ব্যক্তি কোনো অভাবীকে সাহায্য করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে আরাম দান করবেন।’ ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ-ত্রুটি গোপন করবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন করবেন।’ আল্লাহ বান্দাকে সাহায্য করেন যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকে।’ (মুসলিমঃ ২৬৯৯)

কারো ক্ষতি না করাও এক প্রকার পরোপকার। পরার্থপরতা নিজের কল্যাণ সাধন করে। হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই দান মানুষের হায়াত বৃদ্ধি করে। অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে এবং অহংকার দূর করে।’ (আল মুজামুল কাবীরঃ ১৩৫০৮)

 

আরো পড়তে পারেনঃ

Ø ৫ টি কথায় সকল চাওয়া/ যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়

Ø তওবা কবুল হওয়ার শর্ত

Ø সালাতুস তাসবীহ

Ø দোয়া করার নিয়ম

Ø যে সময় দোয়া কবুল হয়

Ø আকীকা এবং কিছু ভ্রান্ত ধারণা

Ø ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব

Ø সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত

Ø কবিরা গুনাহসমূহ

Ø পাঁচ কালেমা আরবি ও বাংলা অর্থসহ উচ্চারণ

Ø শিরকের বিবরণ

Ø মা-বাবা সাথে সন্তানের আচরণ কেমন হবে

Ø জুমার গুরুত্ব ও ফজিলত

Ø ইসলামে নারীর পর্দার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

Ø মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয

Ø মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছদ

Ø নামাজের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং নামাজ সম্পর্কে ঘটনা পর্ব ১

Ø নামাজের প্রকারভেদ

Ø ইসলামে মেহমানদারির গুরুত্ব ও বিধান

Ø ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার পর্ব ১

Ø ফকির মিসকীনের হক বা অধিকার

Ø ফরজ সালাতের পরের দোয়া ও জিকির

Ø বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ ৪টি শ্রেষ্ঠ দুরুদ শরীফ

Ø হালাল উপার্জন

Ø হারাম উপার্জনের পরিণতি

Ø কন্যা সন্তান আল্লাহর রহমত

Ø যৌবনকাল ইসলামে ইবাদতের শ্রেষ্ঠ সময়

Ø চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত #তাকবীরউলা


Popular Posts