আল্লাহর অনুগত হবার উপদেশ
একটির পর একটি মাস চলে যায় বৎসরের সীমা কমে আসে - বৎসর ফুরিয়ে আসে, তেমনি মানুষের আয়ুর সীমাও কমতে থাকে, মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে থাকে। তাই সময় শেষ না হইতেই ইবাদত-বন্দেগি করা এবং আল্লাহর সকল আদেশ-নিষেধ মেনে চলা, পরকালের পথকে মসৃণ ও সুন্দর করা প্রত্যেকের কর্তব্য।কে জান্নাতে আর কে জাহান্নামে তা দেখার আল্লাহর কিছুই নেই এবং আল্লাহ তা নিয়ে পরোয়া করেন না। প্রত্যেকেই তার কর্ম অনুসারে লাভ-ক্ষতির সুফল ভোগ করবে। ভালো কাজ করলে অনন্ত সুখ পাবে আর খারাপ কাজ করলে চিরকাল কষ্ট পাবে। অতএব, একটি ভাল পথ নির্ধারণ করা মানুষের স্বার্থ, আল্লাহর নয়। তিনি একজন সূক্ষ্ম বিচারক। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্য আল্লাহর ইবাদত করা। ইবাদত ব্যতীত মানুষ প্রকৃত মানুষ নয়- তাদের জন্য জাহান্নাম/নরক অবধারিত।
নামাজ অবস্থায় অযূ ভঙ্গ হলে করণীয়
তওবা করার উপদেশ
আল্লাহর নেয়ামতের এমন কিছুই অবশিষ্ট নেই যা আল্লাহ মানবজাতিকে দেননি। সৃষ্টির সর্বোত্তম ও সুন্দর আকৃতি দান করে তিনি মানুষকে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন। জ্ঞানের ভাণ্ডার দান করেছেন। খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের সুস্বাদু খাবার এবং থাকার জন্য বিলাসবহুল ভবন রয়েছে। তবুও মানুষ সর্বদা আল্লাহর আদেশ অমান্য করছে – এমনকি কোন একটি দানের জন্য এতটা কৃতজ্ঞতাও তাদের মনে আসে না। মানুষ হয়েও যেন তারা অমানুষের ন্যায় জীবন যাপন করতে আনন্দ পায়। কিন্তু একদিন সে মারা যাবে। মৃত্যু থেকে কেউ রেহাই পাবে না। তাই কোনো ব্যক্তি পাপ করলেও সঙ্গে সঙ্গে তওবা করা উত্তম। অনুতাপের জন্য অপেক্ষা করবেন না এবং অবিলম্বে তওবা করুন। কারণ আপনার কাছে এমন কোনো সনদ নেই যে আপনি আগামীকাল বেঁচে থাকবেন। একাগ্রচিত্তে তওবা করার চাইতে গুনাহ মাপের দ্বিতীয় উত্তম পথ আর নাই। আল্লাহ তাওবা কবুলকারী।
ইসলামী বিশ্বাসের মধ্যে পরকাল ও পুনর্জীবন অন্যতম। একজন অবিশ্বাসী মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও সে মুসলিম নয়। একজন ছেলে তার বাবাকে হারিয়েছে, একজন মা তার ছেলে-মেয়েকে হারিয়েছে, একজন স্বামী তার স্ত্রীকে হারিয়েছে, একজন স্ত্রী তার স্বামীকে হারিয়েছে এবং একজন বন্ধু তার বন্ধুকে হারিয়েছে, তারা আজ আর বেঁচে নেই। তাদের কৃতকর্ম অনুসারে তারা এখন অন্ধকারের কবরে ফল পেতে শুরু করেছে। মৃত্যু সবার জন্য অবধারিত- প্রত্যেককেই মরতে হবে, তারপর যখন রায় আসবে, আল্লাহর আদালতে সবার আমলের হিসাব হবে, সবার বিচার হবে সেভাবেই। তাই প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য আখেরাতের পথ অর্থাৎ নেক আমল সংগ্রহ করা বিশেষভাবে আবশ্যক। অলস ও মূর্খরা এসব কিছুই শোনে না, কিছুই বুঝতে চায় না। তাদের জন্য পরিতাপ।
দুনিয়াকে যে যাই ভাবুক না কেন, এখানে কৃত ছোট-বড় সকল কাজের হিসাব দিতে হবে, এমনকি প্রতিটি নিঃশ্বাসের হিসাবও আল্লাহর কাছে দিতে হবে। নিদ্রায়, স্বপ্নে, দিনের আলোয়, রাতের অন্ধকারে, গোপনে ও প্রকাশ্যে সকল প্রকার পাপ সেদিন প্রকাশ পাবে। অজানা থাকা সত্ত্বেও কেউ কোনো নেক আমল করলেও সেদিন তা প্রকাশ পাবে। সেদিন হাশর ময়দানে সবাই দেখবে জাহান্নামের উপর প্রতিষ্ঠিত পোলছিরাত। আর এই পোলছিরাতের উপর দিয়ে বেহেশতে যেতে হবে। পাপীরা পুলছিরাত থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় জাহান্নামের আগুনে পতিত হবে এবং ধার্মিকরা বিনা বাধায় তা অতিক্রম করে জান্নাতের বাগানে পৌঁছে যাবে। ওহ আল্লাহ! আমাদের তোমার অনুগ্রহের শামিল কর এবং ঈমানদার হিসাবে মৃত্যু বরণের তৌফিক দান কর।
আরো পড়ুনঃ
নারীদের গোপন মাসায়েল
ও আলোচনা পর্ব ১
ইসলামে নারীর পর্দার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
মহিলাদের যাদের সাথে দেখা দেয়া জায়েয
মা-বাবার সাথে সন্তানের আচরণ কেমন হবে
দুনিয়ার মোহ ত্যাগের উপদেশ
পৃথিবীর সব জিনিসই মানুষকে অন্ধ করে রাখে। এটা মানুষকে ধন-সম্পদের প্রতি অন্ধ করে দেয়। যে ব্যক্তি এই সম্পদ ও ধন দৌলতকে আল্লাহর দান ও অনুগ্রহ মনে করে এবং সঠিক পথে ব্যয় করে, সে এর দ্বারা প্রতারিত হতে পারে না। পক্ষান্তরে, যে একে ভোগের বস্তুরূপে গ্রহণ করে এবং এর মধ্যেই মত্ত হয়,
তবে তাকে দুনিয়ার লালসায় ধরা পড়তে হয়।
ফলে সে পরকাল ও আল্লাহর নির্দেশ ভুলে যায়। কিন্তু প্রকৃত বিষয় বিচার করলে দেখা যাবে, দুনিয়া যেমন সাময়িক, তেমনি এর ভোগ মাত্র কয়েকদিনের জন্য। মরতে হবে, সরু কবরে যেতে হবে; যেখানে দাড়ানো তো দূরের কথা বসার সংকুলান ও হইবে না। সেখানে শুধু একজনের ঘুমানোর জায়গা ঠিক করা আছে। অতঃপর পরকালে পূর্ণ হিসাব নেয়া হবে।
হস্তমৈথুন এবং এটা থেকে বাঁচার উপায়
দামি আতর কেনা কি অপচয় হিসেবে বিবেচিত হবে?
দুই মসজিদ কাছাকাছি, কোন মসজিদে নামাজ পড়বেন?
মোবাইল ফোনে কোরআন তেলাওয়াতের আদব
৫ টি কথায় সকল চাওয়া/যেসব আমলে দ্রুত দোয়া কবুল হয়
ইসলামে প্রতিবেশীর অধিকার পর্ব ১
ইসলামে মেহমানদারির গুরুত্ব ও বিধান
ইবাদত কবূল হওয়ার শর্তাবলী ১ম পর্ব
সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত
যৌবনকাল ইসলামে ইবাদতের শ্রেষ্ঠ সময়